শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

মিয়ানমারে কূটনৈতিক বিদ্রোহ

মিয়ানমারে কূটনৈতিক বিদ্রোহ

এ বিপ্লব কেমনে রুখবে জান্তা! গতকাল সব ভয় উপেক্ষা করে চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরা রাজপথ দখলে নেন -এএফপি

দেশ এবং দেশের বাইরে সব জায়গায় কোণঠাসা হতে চলেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। দিন যত যাচ্ছে ততই দেশটির ভিতরে লাখ লাখ মানুষ আন্দোলনে শরিক হচ্ছে। গণতন্ত্রের জন্য জীবনও দিচ্ছে। সরকারি কর্মী, চিকিৎসকরাও ধর্মঘটে নেমে পড়েছেন।  এর মধ্যে কূটনৈতিক বিদ্রোহের মধ্যেও পড়েছে জান্তা। এবার পদত্যাগ করেছে জাতিসংঘ থেকে সেনা শাসকদের প্রতিনিধি। চাপের মুখে পড়ে জাতিসংঘে সেনা শাসকদের নিয়োগ করা প্রতিনিধি পদত্যাগ করেছেন। তার জায়গায় ফিরে এসেছেন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সেনা শাসকদের সরিয়ে দেওয়া প্রতিনিধি কিয়ো মো তুন। এর আগে তুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সব সদস্য দেশের কাছে আবেদন করেছিলেন, সেনা অভ্যুত্থানের আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য যেন তারা চেষ্টা করেন। কূটনীতিকদের বিদ্রোহের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাস থেকেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারে বিক্ষোভের মোকাবিলায় যেন সংযম দেখানো হয়। পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুরও নিন্দা করা হয়েছে। দূতাবাসের একজন কর্মী পদত্যাগ করেছেন। তিনজন কর্মী সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, তারা বিক্ষোভে যোগ দিতে চান। অন্য দেশেও মিয়ানমারে দূতাবাসে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

গতকালও মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। মান্দালয়ে প্রচুর মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছেন। তাদের হাতে ধরা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘স্টোন এজ শেষ হয়ে গেছে। যতই আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হোক না কেন, আমরা ভয় পাই না।’ মান্দালয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কিছু না বললেও ইয়াঙ্গুনে তারা রবার বুলেট চালিয়েছে। এই প্রতিবাদে ১০০ জন চিকিৎসক সাদা কোট পরে যোগ দিয়েছিলেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেছেন, মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন করতে পুলিশ ভয়ঙ্কর শক্তিপ্রয়োগ করেছে। ২৯ জন সাংবাদিকসহ এক হাজার ৭০০ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে, তা জাতীয় লজ্জা। কিন্তু তিনি মনে করেন, বিদেশ থেকে যে চাপ আসছে, তাতে বিশেষ কাজ হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর