সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সংকট নিরসনে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী চীন

মিয়ানমার সংকট

সংকট নিরসনে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী চীন

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঘরে তৈরি ঢাল নিয়ে রাজপথে বার্মিজ নাগরিকরা -এএফপি

মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দেশটির ‘সব দল ও পক্ষের’ সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং য়ি গতকাল এ কথা বলেন।

চীনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের আন্তর্জাতিক সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, চীন কোনো পক্ষ নিচ্ছে না। চীনা পার্লামেন্টের বার্ষিক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং বলেন, ‘মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে চীন সব দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহী যেন সংকট নিরসনে গঠনমূলক ভূমিকা নেওয়া যায়।’ তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিসহ (এনএলডি) মিয়ানমারের সব দল ও পক্ষের সঙ্গে চীনের সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান রয়েছে। এবং চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়ে মিয়ানমারের সব খাতে ঐকমত্য রয়েছে।’ ওয়াং আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের সংকল্পে কোনো ঘাটতি হবে না।’ এর আগে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই পরিস্থিতি চীন কোনোভাবেই দেখতে চায় না। অভ্যুত্থানে চীনের হাত রয়েছে এমন গুজবও উড়িয়ে দেয় দেশটি। জাতিসংঘ থেকে যখন মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব ডাকা হয়, চীন তা ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছিল। এদিকে রয়টার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার এক লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সেই লবিস্ট জানান, সেনা সরকার চীন নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী। রাতভর তল্লাশি, সকাল হতেই রাস্তায় হাজারো বিক্ষোভকারী : মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক আন্দোলন উল্কার গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। নিরস্ত্র গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের দমন করতে বার্মিজ সেনা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সেনার ক্ষমতা অধিগ্রহণের এক মাস পরেও বিক্ষোভ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে এ অবস্থায়, বিক্ষোভকারীদের ধরতে বাড়িতে বাড়িতে রাতভর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চালাচ্ছে। রাতের আঁধারে লোক মারছে আবার গায়েব করছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিদিনেই সকাল শুরু হতেই দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। গতকালও তা দেখা গেছে। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন সেনাবাহিনী নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ বেসামরিক সরকারের শীর্ষ নেতাদের আটক এবং রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অচলাবস্থার সূচনা হয়। প্রাত্যহিক বিক্ষোভ ও অবরোধের কর্মসূচির কারণে ব্যবসায়িক পরিবেশ রুদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অচল হয়ে গেছে দেশটির দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম।

সর্বশেষ খবর