মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজপরিবারের অজানা অপ্রিয় তথ্য দিলেন মেগান- হ্যারি

রাজপরিবারের অজানা অপ্রিয় তথ্য দিলেন মেগান- হ্যারি

উইনফ্রেকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন হ্যারি ও মেগান

ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ব্রিটেনের রাজবধূ মেগান মার্কেল। সেই সঙ্গে কাঠগড়ায় তুললেন মিডিয়াকেও। জানিয়ে দিলেন, একসময় তিনি এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন, আত্মহত্যার কথাও মাথায় এসেছিল। কেবল মেগানই নন, রাজপুত্র হ্যারিও বাবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি নিয়ে মুখ খুলেছেন। বিখ্যাত টিভি সাংবাদিক অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্যত তোলপাড় ব্রিটেনে। সেই সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারে বর্ণবাদ, বাকস্বাধীনতা, পক্ষপাতিত্ব সব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন দুজনেই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেসিটো অঞ্চলের বাসিন্দা হ্যারি- মেগান দম্পতি। সেই সুবাদে অপরাহ উইনফ্রের প্রতিবেশীও তারা। গত বছরই রাজকীয় দায়িত্ব-কর্তব্য থেকে সরে দাঁড়িয়ে সাধারণ জীবন কাটানোর ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন ৩৯-এর মেগান ও ৩৬-এর হ্যারি। এবার খোলামেলাভাবেই তাঁদের মনের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। সাক্ষাৎকারে মেগানের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, রাজপরিবার তাঁদের সন্তানের গায়ের রং নিয়ে চিন্তিত ছিল। এ ব্যাপারে হ্যারির সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আসলে মেগানের বাবা শ্বেতাঙ্গ হলেও মা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। সেই কারণেই রাজপরিবারের উদ্বেগ ছিল, মেগানের সন্তান হয়তো পুরোপুরি ফরসা নাও হতে পারে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে পক্ষপাতমূলক খবর নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মেগান। বিশেষ করে ট্যাবলয়েড পত্রিকার নেগেটিভ কভারেজ নিয়েও মুখ খুলেছেন মেগান। তিনি অভিমানের সুরে বলেন, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, তিনি আর বেঁচে থাকতে চাইছিলেন না! উইনফ্রে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই চাপ তাঁকে নিতে হয়েছিল কিনা। মেগান সে কথায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, ব্যাপারটা একেবারেই তাই ছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি রাজপরিবারের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম। পরিবারের অন্যতম বর্ষীয়ান একজনকে বলেছিলাম মিডিয়াকে জানিয়ে দিতে যে, আমি মানসিক চাপে পড়ে যাচ্ছি। কিন্তু উনি বলেন, সেটা ভালো দেখাবে না।’ পাশাপাশি হ্যারিও জানান, তাঁর বড় ভাই উইলিয়ামের স্ত্রীকে মেগান কাঁদিয়েছেন এমন মিথ্যা অভিযোগও তুলেছিল মিডিয়ায়। আর সেই সময়ও তাঁর বাবা যুবরাজ চার্লসের ব্যবহার তাঁকে হতাশ করেছিল। তবে হ্যারি এও জানিয়েছেন, তাঁর বাবা ও বড় ভাই আসলে রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে ফাঁদে পড়ে রয়েছেন। এ সময় হ্যারি জানান, রাজপরিবার ছেড়ে আসার পর তাঁর বাবা প্রিন্স চার্লসকে ফোন করলেও তিনি ধরতেন না। এখন অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে আর তাই সন্তানের সঙ্গে বাবা ফোন করে আবার কথা বলেন বলেও জানিয়েছেন হ্যারি।

হ্যারি মনে করেন, তাঁর আর মেগানের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তা দেখলে তাঁর প্রয়াত মা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানা ‘খুব রেগে যেতেন, ভীষণ দুঃখ পেতেন।’ তবে এখন যে তারা স্বাধীনভাবে বসবাস করছেন তা দেখে তাদের মা ডায়ানা খুব খুশি হতেন বলে জানান হ্যারি।

তবে কেবল ক্ষোভের কথাই নয়, তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানকে নিয়েও মুখ খোলেন মেগান-হ্যারি। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান গ্রীষ্মেই পৃথিবীর আলো দেখবে। তাঁদের দাবি, লিঙ্গ পরীক্ষা করিয়ে তাঁরা জানতে পেরেছেন এবার কন্যাসন্তানই আসছে তাঁদের কোলে।

সর্বশেষ খবর