বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সৌদির

ছয় বছর ধরে চলা ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। হুতি বিদ্রোহীরা রাজি হলে ‘অতি দ্রুত’ এ পরিকল্পনা কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে রিয়াদ। সোমবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পাশাপাশি ইয়েমেনে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত রাজধানী শহর সানায় বিমানবন্দর পুনরায় চালুর সুযোগ দেওয়া হবে বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি এ পরিকল্পনার আওতায় ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হোদেইদাহ বন্দর দিয়ে প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও খাবার আমদানির সুযোগ দেবে সৌদি আরব।

কিন্তু ইয়েমেনের আকাশে ও সমুদ্রে আরোপ করা অবরোধ তোলার ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাব খুব বেশি দূরে যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হুতিরা। তবে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুতিরা প্রস্তাবগুলো যখনই গ্রহণ করবে তখনই অস্ত্রবিরতি শুরু হবে বলে এ সময় জানান তিনি। এদিকে হুতিরা, রাজধানী সানার বিমানবন্দর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর হুদায়দাহ থেকে অবরোধ পুরোপুরি তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাবে কিছু বলা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে। হুতি পক্ষের প্রধান আলোচক মোহাম্মদ আব্দুল সালাম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি বলেছেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম সৌদি আরব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরগুলোর অবরোধ শেষ করার ঘোষণা দেবে এবং জোট বাহিনীর হাতে আটক ১৪টি জাহাজকে অনুমতি দেওয়ার উদ্যোগ নেবে। কিন্তু এসবের কিছু নেই প্রস্তাবে।’

এরপরেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব স্বাগত জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। তবে প্রতিক্রিয়ায় বলা বলছে, সৌদি আরবের ওই প্রস্তাব নতুন কিছু নয়। এক বিবৃতিতে হুতির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম বলেন, সৌদি আরবকে আগ্রাসন বন্ধের ঘোষণা দিতে হবে। বিমান ও সমুদ্রবন্দরের ওপর থেকে অবরোধ পুরোপুরি তুলে নিতে হবে। প্রতিবছর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা নতুন কিছু নয়। মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে দুই প্রতিপক্ষ সৌদি আরব ও ইরান। ইয়েমেনে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে ইরান। এ কারণে হুতি দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে সৌদি আরব। সৌদি অবরোধের জের ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে চলমান মানবিক সংকটের কারণে সমালোচিত হয়েছে রিয়াদ।

সর্বশেষ খবর