মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মিয়ানমারে আন্দোলনে ১০ গেরিলা সংগঠন

মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ১০টি সশস্ত্র গেরিলা সংগঠন। এই সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। এদিকে অধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৫০০ ছাড়িয়েছে। গ্রেফতার বা আটক ব্যক্তির সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। তারপরও রাজপথ ছাড়ছে না গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা। নির্বাচিত সু চি সরকারের প্রতি সমর্থন এবং জান্তাবিরোধী বিদ্যমান বিক্ষোভের প্রতিও নিজেদের অবস্থানের জানান দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। শনিবার নিজেদের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিবর্ষণের নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো। বিদ্রোহী সংগঠন রেস্টোরেশন কাউন্সিল অব শান স্টেটের  নেতা জেনারেল ইয়াউদ সের্ক বলেন, নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর জন্য সামরিক বাহিনীর নেতাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। পাঁচ শতাধিক বেসামরিক মানুষকে হত্যার জবাব তাদের দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরশাসনের অবসান চায়। আর ১০ সংগঠন জোরালোভাবে মানুষের সঙ্গে রয়েছে। রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে আমাদের বিভিন্নভাবে কাজ করতে হবে।

সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে গত সপ্তাহে জান্তা সরকারের ঘোষিত এক মাসের যুদ্ধবিরতি নিয়েও কথা বলেন ইয়াউদ সের্ক। তিনি বলেন, ওই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে আগে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর যাবতীয় সহিংসতার অবসান ঘটাতে হবে। এদিকে মিয়ানমারে স্বৈরশাসনের অবসান ও গণতন্ত্র-মানবাধিকারের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষের ব্যাপক দমন-পীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা প্রতিদিনই মিয়ানমারের রাস্তায় নামছেন। তারা সেনাশাসন প্রত্যাখ্যান করছেন। দিনের বেলায় তো বটেই, আন্দোলনকারীরা রাতেও প্রতিবাদে শামিল হচ্ছে। তবে জান্তা সরকার তথ্যের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে নানান কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা বিশেষ করে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করছে। গত শুক্রবার ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর