বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
তুরস্ককে ইইউ

মানবাধিকার প্রশ্নে ছাড় নয়

বিভিন্ন কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপ ও তুরস্কের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সাইপ্রাস ও গ্রিসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কের উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এমনকি গত ডিসেম্বরে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়েও আলোচনা শুরু করে ইইউ।

প্রথমে এই হুমকি অগ্রাহ্য করলেও পরে নরম হতে শুরু করেন এরদোগান। বিতর্কিত জলসীমানায় অনুসন্ধান বন্ধ করে আঙ্কারা। এর ধারাবাহিকতায় ইউরোপের সঙ্গে আলোচনার দ্বারও উন্মোচিত হয়। এর অংশ হিসেবেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন। বৈঠক শেষে উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেছেন, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চাইলে আঙ্কারাকে মানবাধিকারের মৌলিক দিকগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। আর এ জন্য, নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধে ৪৫টি দেশের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি থেকে সম্প্রতি সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। কাউন্সিল অব ইউরোপের উদ্যোগে ২০১১ সালে ইস্তাম্বুলে এই চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়েছিল। বিষয়টিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান বলেন, মানবাধিকারের বিষয়গুলোতে তুরস্কের সঙ্গে কোনো সমঝোতা বা ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অনিবার্য বিষয়। ‘তুরস্ক ও ইউরোপের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেগুলো অবিচ্ছেদ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। তুরস্ককে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানদন্ডগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে’ বলেন জার্মানির সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মহামারী, পর্যটনে ধস, স্থানীর মুদ্রা লিরার দরপতনে তুরস্কের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে এরদোগানের মিত্র হিসেবে পরিচিত  ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় আঙ্কারার দিক থেকে বরফ গলার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর