তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন। গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিন তাইওয়ানের সীমানায় চীনা যুদ্ধবিমান চক্কর দিচ্ছে। দুই ডজনেরও বেশি চীনা বিমান তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে তাইওয়ান। অপরদিকে, তাইওয়ানের সঙ্গে সরকারের মতবিনিময়ের জন্য নতুন মার্কিন নির্দেশিকায় খুশি নয় চীন। গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ তাইওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করে। তাইওয়ান প্রশ্নে ওয়াশিংটন বেইজিংকে যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই নির্দেশিকা তার বিপরীত বলে মন্তব্য করেছে চীন। প্রেস ব্রিফিংয়ে ঝাও লিজিয়ান বলেন, তাইওয়ানের সমকক্ষদের সঙ্গে মার্কিন সরকারের মতবিনিময়ের তথাকথিত নির্দেশিকা তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন সরকারের সম্পৃক্ততাকে স্পষ্টভাবে উৎসাহিত করে, যা এক-চীন নীতি এবং তিনটি চীন-মার্কিন যৌথ বিজ্ঞপ্তিকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করে। তাইওয়ান প্রশ্নে চীনকে যুক্তরাষ্ট্র যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এটা তার বিপরীত। লিজিয়ান আরও বলেন, আমরা মার্কিন পক্ষকে পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে এবং আগুন নিয়ে খেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এর আগে গত রবিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøনকেন চীনকে একটি সতর্কবার্তা জারি করে বলেছিলেন, ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ানের ‘স্থিতাবস্থা’ পরিবর্তনের চেষ্টা করা যে কারও পক্ষে ‘গুরুতর ভুল’ হবে।