সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সাবমেরিনটি তিন টুকরো হয়ে সমুদ্রের তলায়, ৫৩ নাবিক নিহত

ফিরে পাওয়ার আশাটুকু ছিল এত দিন। তবে শনিবার ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী জানিয়ে দিল সাবমেরিনটিকে তিনটি খন্ডে টুকরো হয়ে যাওয়া অবস্থায় সমুদ্রের তলায় পাওয়া গেছে। আর সাবমেরিনটিতে যে ৫৩ জন নাবিক ছিল তাদের জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। মনে করা হচ্ছে, বালির উত্তর উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করা ‘কেআরআই নাঙ্গালা ৪০২’ নামে ওই ডুবোজাহাজটি বুধবার তলিয়ে যাওয়ার আগে সেটিতে চিড় ধরে। যার জেরে তিন ভাগ হয়ে যায় সেটি। সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা রবিবার বলেছেন, সাবমেরিনটির কাছ থেকে তারা বার্তা পেয়েছেন এবং এটি সমুদ্রের ৮০০ মিটার গভীরে ডুবে গেছে। সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে ধার নেওয়া একটি উদ্ধারকারী যানের সাহায্যে ছবি তুলে তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। সাবমেরিনটি মহড়া চালানোর নিখোঁজ হয়ে যায়। রবিবার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে জাহাজের কিছু ভগ্নাবশেষ ও জায়নামাজের মতো কিছু জিনিস উদ্ধার করার পর তারা নিশ্চিত হন যে জাহাজটি ডুবে গেছে। স্ক্যান থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সাবমেরিনটি সমুদ্রের সাড়ে আটশ মিটার গভীরে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে, সচল অবস্থায় এত গভীরে যাওয়ার সক্ষমতা এই সাবমেরিনের নেই। কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজটি যখন নিখোঁজ হয়ে যায় তখন তাতে তিনদিনের অক্সিজেন মজুদ ছিল। ইন্দোনেশিয়ায় নৌবাহিনীর প্রধান ইওদো মারগোনো বলছেন, স্ক্যান করে দেখা গেছে ডুবোজাহাজটি সমুদ্রের যতটা গভীরে চলাচল করতে পারে, এটি তার চেয়েও অনেক গভীরে তলিয়ে গেছে। ডুবোজাহাজটি ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। তবে ২০১২ সালে এতে কিছু কাজ করা হয়।

সর্বশেষ খবর