বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

চীনে প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য খুবই উদ্বেগজনক

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বের বৃহত্তম জনবসতির দেশ চীনে প্রবীণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে দ্রুত কমছে যুবক-যুবতীর সংখ্যা। এর মূল কারণ, দম্পতির মধ্যে ‘কোনো সন্তান নয়’ মানসিকতার বিস্তার। এর ফলে যুবশক্তির অভাব ঘটবে এবং তাতে ব্যাহত হবে শিল্প উৎপাদন যার প্রভাবে অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে পড়ার আশঙ্কা। নীতিনির্ধারকরা এখন ভাবছেন, কীভাবে এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। এক সময় ‘এক সন্তানই যথেষ্ট’ নীতি কার্যকর ছিল চীনে। চীনে প্রতি দশ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়। আদমশুমারিতে একবার ধরা পড়ে যে, যুবশক্তির ঘাটতি দেখা দেবে অদূর ভবিষ্যতে। তখন, ২০১৬ সালে ‘এক সন্তান’ নীতি বাতিল করা হয়। তবু প্রবীণের সংখ্যাই বাড়ছে। চীনে সর্বশেষ আদমশুমারি হয়েছে ২০২০ সালে। এর ফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। ২০০০ সালে ১৪ বছর বয়সীদের ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। কমতে কমতে ২০১০ সালে এই হার হয়েছে ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। ‘এক সন্তানই যথেষ্ট’ নীতি রদ করার সময় লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয় উৎপাদনসক্ষম যুবক-যুবতীর সংখ্যা ২০২০ সালের মধ্যে ১৪২ কোটিতে পৌঁছবে যা ২০১০ সালে ছিল ১৩৪ কোটি। কিন্তু প্রবণতা দৃষ্টে ধারণা করা হচ্ছে যে, শিশু জন্মের হার দিন দিন কমেই চলেছে। নাগরিক দম্পতিরা সন্তান নেওয়াটা উপার্জনের জন্য প্রতিবন্ধক মনে করেন। সন্তান পরিচর্যায় যে সময় ব্যয় হয়, সে সময়টা কর্মস্থলে খাটলে উপার্জন বৃদ্ধির সুযোগ বলে গণ্য করা হচ্ছে। স্বামী-স্ত্রীর সম্মিলিত আয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া, আহার, আধুনিক জীবনযাপনের খরচ বাদ দিলে যা থাকে তা দিয়ে সন্তানের ভরণ সুষ্ঠুভাবে করা কষ্টকর। এই চিন্তা থেকেও সন্তান নেওয়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর