শিরোনাম
শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ফ্রান্স-ব্রিটেন উত্তেজনা

ইউরোপে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আর এই উত্তেজনা দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে। ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই এই উত্তেজনা দেখা দিল। ঘটনার সূত্রপাত জার্সি এলাকায় ফরাসি মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে। উল্লেখ্য, জার্সি হলো চ্যানেল আইল্যান্ডসের অধীনে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের অধীনে সবচেয়ে বড় দ্বীপ। এখানে আছে ব্রিটেনপন্থি স্বায়ত্তশাসন। এর আছে বহু বিচ বা সমুদ্রসৈকত। এ জন্য জার্সির প্রতি আকর্ষণ আছে বহু মানুষের। সেখানে ফ্রান্সের মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে। এই মাছ ধরা বন্ধ করতে ব্রিটেন দুটি রয়েল নৌবাহিনীর দুটি সশস্ত্র নৌযান পাঠিয়েছে। এতে রয়েছে কামান ও মেশিনগান। উত্তেজনা নিয়ে জার্সির মুখ্যমন্ত্রী জন লা ফনদ্রের সঙ্গে কথা বলেছেন বরিস জনসন। জার্সির ওপর বকেড বা অবরোধ দেওয়া হতে পারে বলে সাবধান করেছে প্যারিস। তাই প্যারিসের ওইসব মাছধরা বোটকে থামাতে জনসন পাঠিয়েছেন এইচএমএস সেভার্ন এবং এইচএমএস তামার। সশস্ত্র এই দুটি নৌযান ওই চ্যানেলটিতে টহল দেবে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এই অবস্থাকে দেখা হচ্ছে ব্রেক্সিটের পরে প্যারিসের সঙ্গে অপ্রত্যাশিত এক বড় উত্তেজনা হিসেবে। এতে বলা হয়েছে, আগের দিন প্যারিস সতর্ক করে দিয়েছে যে, তারা ব্রিটিশ ক্রাউনে সরবরাহ দেওয়া বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। জার্সিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয় সমুদ্রতলে ক্যাবলের মাধ্যমে। জার্সিতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তার মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগই সরবরাহ দেয় ফ্রান্স।

দুই দেশের এই পদক্ষেপ ‘কড’ যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, যার শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে নর্থ আটলান্টিকে। তখন ব্রিটেনের রয়েল নৌবাহিনী আইসল্যান্ডের বোটগুলোকে ব্রিটিশ ট্রলারগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করিয়েছিল। বর্তমানে ব্রিটেন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে যে বাণিজ্যিক চুক্তি আছে সে অনুযায়ী বোট চলাচলের জন্য নতুন সব নিয়ম প্রণয়ন করে তার বাস্তবায়ন করতে শুরু করে জার্সি। তাকে কেন্দ্র করেই এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নিয়মের অধীনে এর আগে যেসব বোট মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত থাকত তাদের এ এলাকার জলসীমায় মাছ ধরার জন্য নতুন করে লাইসেন্স নিতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় বুধবার উত্তেজনা নিরসনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করার আহ্‌বান জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সর্বশেষ খবর