সোমবার, ১০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়েছে ভারত মহাসাগরে

মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারানো চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ শেষ পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়েছে। এটি গতকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে এবং ধ্বংসাবশেষের বেশির ভাগ তখনই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর একটি অংশ ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের কাছে পড়ে। অবশিষ্ট কিছু অংশ ভারত ও শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সমুদ্রে পতিত হয়। এতে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রয়টার্স, বিবিসি।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের অ?্যারোস্পেস করপোরেশনের টুইটে বলা হয়েছিল, রবিবার জিএমটি ০৪:১৯ মিনিটের আট ঘণ্টা আগে বা আট ঘণ্টা পরে চীনের ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করবে। গতকাল চায়না ম্যানড স্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস জানায়, রকেটটি ধ্বংস হওয়ায় এর বেশির ভাগই বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রকেটটির কিছু অংশ গতকাল বেইজিং সময় সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৮টা ২৪ মিনিট) পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল চীনের ওয়েনচ্যাং স্পেস সেন্টার থেকে লং মার্চ-৫বি রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

ভূপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬০ থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার ওপরের একটি কক্ষপথে যাওয়ার পর রকেটটির মূল অংশ নজিরবিহীনভাবে নিচের দিকে নেমে আসে। ১৮ টন ওজনের এ ধ্বংসাবশেষ বায়ুমন্ডলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বলা হয়, কয়েক দশকের মধ্যে এটি বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে বড় মহাকাশ বর্জ্যরে অন্যতম। রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে ঠিক কখন ও কোথায় আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছিল। তবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আগেই জানায়, তাদের আশা, রকেটটির ধ্বংসাবশেষ এমন জায়গায় পড়বে, যেখানে কারও ক্ষতি হবে না। এটি সমুদ্র বা এ রকম কোনো জায়গায় পড়তে পারে। শেষ পর্যন্ত রকেটটির ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রেই পড়েছে। এ থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, মহাকাশে নতুন একটি স্পেস স্টেশন তৈরির চেষ্টা করছে চীন। এর অংশ হিসেবে গত মাসে প্রথম মডিউল পাঠায় দেশটি। এ মডিউল পাঠাতে লং মার্চ-৫বি নামের একটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এর আগে গত বছর আরেকটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টের গ্রামে পড়েছিল। এতে সেই দেশের নানা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।

সর্বশেষ খবর