সোমবার, ১০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
যুক্তরাষ্ট্রে গণস্বাক্ষর অভিযান

আমেরিকানদের মাসিক ২ হাজার ডলারের স্টিমুলাস চেক দাবি

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

করোনার প্রকোপ না কমা পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ হাজার ডলার এবং শিশু-কিশোরের জন্য ১ হাজার ডলারের চেক প্রদানের দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযানে ২৪ লাখ আমেরিকান   অংশ নিয়েছেন।

এই দাবির সমর্থনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ৫৩ কংগ্রেসম্যান প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও চাঙা করার জন্য। সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ২১ জন সিনেটরও প্রেসিডেন্ট বাইডেন সমীপে এক পত্রে আরেকটি স্টিমুলাস বিলের রূপরেখা উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তারা উল্লেখ করেছেন, ‘চলমান সংকট খুব সহজে দূর হওয়ার নয়। তাই প্রতিটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। একই সঙ্গে তারা যাতে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ না হয় সে ব্যবস্থাও করতে হবে অর্থাৎ বাসা ভাড়া বাবদ তাদেরকে অর্থ প্রদান করতে হবে।’

গণস্বাক্ষর অভিযান চলবে বলে ‘চ্যাঞ্জ ডট অর্গ’র (ঈযধহমব.ড়ৎম ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অনলাইনে সংগ্রহ করা হচ্ছে এই স্বাক্ষর। প্রায় একই দাবিতে আরও ৫টি টার্মিনালে স্বাক্ষর অভিযান চালানো হচ্ছে। ডেনভারের একটি রেস্টুরেন্টের মালিক স্টিফ্যানি বনিন এই স্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছেন ট্রাম্পের আমলেই। তবে এই অভিযানে ব্যাপক সাড়া পড়ে জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর। এরই মধ্যে তৃতীয় স্টিমুলাস চেক তথা আমেরিকা উদ্ধার পরিকল্পনা বিল অনুযায়ী একেকজন ১৪০০ ডলারের চেক পেলেও সার্বিক পরিস্থিতি উত্তরণে তেমন প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়নি বলে মনে করেই স্বাক্ষর অভিযান অব্যাহত রাখার সংকল্প ব্যক্ত করা হয়েছে। এ দাবি উত্থাপন করা হয়েছে কংগ্রেসের প্রতি।

করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সবল করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনও সাম্প্রতিক সময়ে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশকিছু পরিকল্পনার কথা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। সে সময় বাইডেন বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, করোনায় ল-ভ- অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে আমেরিকানদের জন্য আরও সহায়তা প্রয়োজন। সে জন্য তিনি কংগ্রেসের সমর্থন চাইলেও রিপাবলিকানরা পুরোপুরি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, সামনের বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের অভিপ্রায়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির স্বার্থে বাইডেন উপরোক্ত পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তবে সারা আমেরিকায় চলমান এই স্বাক্ষর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে রিপাবলিকান সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের মধ্যেও এক ধরনের সহানুভূতির ঢেউ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর