মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

মমতার মন্ত্রিসভা ৪৩ জনের

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

মমতার মন্ত্রিসভা ৪৩ জনের

অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গতকাল নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন ৪৩ জন। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনের থ্রোন হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। ছয় মিনিটেই শেষ হয় শপথ অনুষ্ঠান। আগের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানগুলোয় এক-এক জন করে জয়ী বিধায়করা শপথ নিতেন কিন্তু এবারের শপথ গ্রহণের স্থায়িত্ব ছিল সর্বসাকল্যে ছয় মিনিট। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে প্রথম দফায় শপথ নেন ২৪ জন। এর মধ্যে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শপথ নেন তিনজন- অমিত মিত্র, ব্রাত্য বসু ও রথীন বসু। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অমিত মিত্র এবং করোনার সংক্রমিত হওয়ায় বাকি দুজন বাড়িতে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শপথ নেন। পরের দফায় স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ১০ জন এবং শেষে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আরও নয়জন। সব মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নতুন মন্ত্রীরা করোনা মোকাবিলা করাকেই তাদের প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে রাখছেন, সেই সঙ্গে এলাকার সড়ক উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, পানির ব্যবস্থা করা, নিকাশি সমস্যা দূর করাসহ একাধিক কর্মকান্ডের ওপরও জোর দিয়েছেন তারা। মন্ত্রিসভার শপথের পরই রাজ্য সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় নবান্নের সভাঘরে এ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক বসে। সেখানেই মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করা হয়। গতবারের মতোই স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিজের হাতে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই সঙ্গে তথ্য ও সংস্কৃতি, পার্বত্যবিষয়ক, কর্মিবর্গ ও প্রশাসনকি সংস্কার, ভূমি এবং ভূমি সংস্কার ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাবেন মমতা। বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই এ মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্ব পেয়েছেন, কয়েকজনের আবার দফতর বদল করা হয়েছে। রাজ্যের বিধানসভা আসনের নিরিখে সর্বোচ্চ ৪৪ জন মন্ত্রী হতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এবার সে কোটা পূরণ হয়েছে। গতবারের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন ৪১ জন।

সংবাদ সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের মন্ত্রিসভায় ২০ জন নতুন মুখ। এটা খুব বড় ব্যাপার। একটা মন্ত্রিসভায় এতজন নতুন মুখ, আমাকে নিয়ে নয়জন নারী, সাতজন সংখ্যালঘু, চারজন তফসিলি জতি ও চারচন তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের ব্যক্তি মন্ত্রী হয়েছেন, এ ছাড়া রাজবংশী, মাহাতো সম্প্রদায় থেকেও জনপ্রতিনিধি রাখা হয়েছে।’

এদিন রাজভবনে যখন নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান চলছিল তখনই কলকাতার হেস্টিংস কার্যালয়ে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা। সেখানেই সর্বসম্মতভাবে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুকে বেছে নেওয়া হয়। অর্থাৎ রাজ্য বিধানসভায় তিনিই দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সর্বশেষ খবর