সোমবার, ১৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকায় কমেছে সংক্রমণ ও মৃত্যু

ইতালির গবেষণা

টিকায় কমেছে সংক্রমণ ও মৃত্যু

ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার পাঁচ সপ্তাহ পর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার ৮০ শতাংশ কমে যাওয়ার তথ্য এসেছে ইতালির এক গবেষণা প্রতিবেদনে।

ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (আইএসএস) পরিচালিত ওই গবেষণার ফলাফল গত শনিবার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। গবেষণাটি চালানো হয়েছে দেশটির টিকাপ্রাপ্ত ১ কোটি ৩৭ লাখ মানুষের ওপর। টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবে কতটা সুফল দিচ্ছে, তা জানতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশের প্রথম গবেষণা এটি। বিজ্ঞানীরা ইতালিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর   প্রথম দিন ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে ৩ মে ২০২১ পর্যন্ত সময়ের তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। তাদের বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রাথমিক টিকাদানের প্রথম দুই সপ্তাহ পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, এর কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর ঘটনা ক্রমান্বয়ে কমেছে। আইএসএস বলছে, ইতালিতে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার ৩৫ দিন পর সংক্রমণের হার ৮০ শতাংশ, হাসপাতালে ভর্তির হার ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার   ৯৫ শতাংশ কমেছে। প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই একই ফল দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে ওই গবেষণা প্রতিবেদনে।

আইএসএসের সভাপতি সিলভিও ব্রুসাফেরো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই উপাত্ত টিকাদান কর্মসূচির কার্যকারিতা এবং সংকটের সমাপ্তি টানতে জনগণের বড় অংশকে দ্রুত টিকাদানের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করেছে।’

ইতালির এই গবেষণার নমুনায় থাকা প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে ৯৫ শতাংশ ফাইজার ও মডার্নার টিকা পেয়েছে এবং দুই ডোজ টিকাই নিয়েছে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের কেউ দ্বিতীয় ডোজ পাননি। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত ইতালি টিকা উৎপাদকদের পরামর্শ অনুসরণ করছে। ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে প্রথম ডোজের তিন সপ্তাহ পর, মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে চার সপ্তাহের বিরতি রেখে এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য প্রথম ডোজের পর ১২ সপ্তাহ বিরতি রাখা হচ্ছে।

নতুন স্ট্রেনের সঙ্গে লড়তে সক্ষম কোভ্যাক্সিন : আন্তর্জাতিকভাবে আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের সঙ্গে লড়াইয়ে সক্ষম কোভ্যাক্সিন। গবেষণায় কোভ্যাক্সিনের মুকুটে জুটল আরও একটি পালক।

ক্লিনিক্যাল ইনফেকশন ডিজিজের গবেষণাপত্রে  বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিন করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের কার্যক্ষমতাকে হ্রাস করতে পারে। বি.১.৬১৭ এবং বি.১.১.৭ এই দুই প্রজাতির দেখা মেলে প্রথমে ভারতে ও ব্রিটেনে। তুলনামূলক অন্য স্ট্রেনের চেয়ে যাদের সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক। আর সেই   ক্ষমতাকেই হারিয়ে দিতে পারে কোভ্যাক্সিন, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের। এই পরীক্ষায় যোগ দিয়েছিল    ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ।

সর্বশেষ খবর