শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

আপাতত গৃহবন্দী থাকতে হবে পশ্চিমবঙ্গের চার নেতা-মন্ত্রীকে

কলকাতা প্রতিনিধি

আপাতত গৃহবন্দী থাকতে হবে পশ্চিমবঙ্গের চার নেতা-মন্ত্রীকে

সুব্রত মুখার্জি, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়

‘নারদ’ ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতারকৃত পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রীসহ চার হেভিওয়েট নেতাকে জেল হেফাজতের বদলে ‘গৃহবন্দী’ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে জেলমুক্তি ঘটলেও গৃহবন্দী অবস্থায় থাকতে হবে পরিবহন ও আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনিক কাজে যুক্ত ফিরহাদ হাকিমসহ অন্য মন্ত্রীরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের কাজ চালাতে পারবেন। গতকাল কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। কিন্তু শুনানি চলাকালীন এই বেঞ্চের মধ্যে মত পার্থক্য হয়। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় গ্রেফতারকৃত চার হেভিওয়েট নেতাকে জামিন দেওয়ার পক্ষে থাকলেও তার বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। এরপরই দেশটির শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক গৌতম নাভলাখা মামলার উদাহরণ টেনে ওই চারজনকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ দেয় আদালত। সে ক্ষেত্রে (ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই তাদের সব কাজ, মিটিং, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সারতে হবে। অনলাইনে কার সঙ্গে কথা, কী কথা সমস্ত রেকর্ড রাখতে হবে। বাড়িতে সিসিটিভি না থাকলে তা বসাতে হবে। গৃহবন্দী অবস্থায় বাড়িতে কে কে আসছেন তারও ফুটেজ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে দুই বিচারপতির মতভেদ হওয়ায় এই মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে যাচ্ছে। সেখানেই ওই চার নেতা-মন্ত্রীর জামিন পাওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত হবে। তবে কবে ওই বেঞ্চের শুনানি শুরু হবে তা এখনো স্থির হয়নি। ফলে যতদিন পর্যন্ত বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার রায় না হয়, ততদিন গৃহবন্দী অবস্থাতেই থাকতে হবে চার নেতা-মন্ত্রীকে। গত ১৭ মে (সোমবার) ওই চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

সর্বশেষ খবর