সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল সকাল থেকে ভোট দেওয়া শুরু করেছে দেশটির নাগরিকরা। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার বলছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধ সত্ত্বেও সিরিয়া স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, এই নির্বাচন আসাদের ক্ষমতা সংহত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা বলছে, এ নির্বাচনে আসাদের বিরুদ্ধে দুই জন অখ্যাত প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন। দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা নার্সিং শিক্ষার্থী আমল বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নির্বাচিত করতে এসেছি, তাকে ছাড়া সিরিয়া আর সিরিয়া থাকবে না।’ ভোট কেন্দ্রগুলো খোলার আগে একদল শিক্ষার্থী শ্লোগান দিয়ে বলছিলেন, ‘আমাদের জীবন আপনার জন্য উৎসর্গ করেছি বাশার।’ দেশটির কর্মকর্তারা গোপনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন যেন অনেক ভোটার ভোট দিতে আসে তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষগুলো শেষ কয়েকদিন দেশজুড়ে বড় বড় সমাবেশের আয়োজন করেছে। ২০০০ সালে পিতা হাফিজের মৃত্যুর পর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন বাসার আল আসাদ। তার আগের ৩০ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন তার বাবা হাফিজ। ২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর নিপীড়ন শুরু করলে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। বিগত এক দশক ধরে চলছে এই যুদ্ধ। এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আর দেশটির প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
সিরিয়ার এই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না বলে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।