শনিবার, ২৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
দুর্নীতি রোধে পদক্ষেপ

ত্রাণ দেবে প্রশাসন, নেতারা নন : মমতা

ত্রাণ দেবে প্রশাসন, নেতারা নন : মমতা

ত্রাণে দুর্নীতি রোধে বিশেষ পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতারা ত্রাণ দেবেন না। শুধু প্রশাসনই দেবে। অবশ্য তার এ সিদ্ধান্তের পর বিরোধী দল মন্তব্য করেছে, তাহলে কি ত্রাণ-দুর্নীতি স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং সুন্দরবনের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানিয়েছেন, ত্রাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু ত্রাণের কাজ করবে প্রশাসন। দল তাতে জড়িত থাকবে না। আম্ফানের পর দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সে কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। আম্ফানের পরে অভিযোগ উঠেছিল, যাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা, তারা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। রাজনৈতিক রং দেখে তা দেওয়া হচ্ছে। নেতারা ত্রাণের জিনিস আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। প্রাথমিকভাবে শাসক দল তা মেনে না নিলেও, পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বিষয়টিতে আলাদা মাত্রা যোগ করে। রাজ্য বিজেপির নেতা সৌরভ শিকদারের বক্তব্য, ‘নেতাদের ত্রাণ থেকে সরিয়ে রেখে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, আম্ফানের সময় দুর্নীতি হয়েছিল। আমরা তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিলাম।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক মন্ত্রী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘আম্ফানের সময় যে দুর্নীতি হয়েছিল, তা আগেই দল স্বীকার করেছিল এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল। নতুন করে সে প্রসঙ্গ সামনে আনার আর মানে হয় না।’ তবে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ইয়াস নিয়ে বিরোধীরা যাতে এবার রাজনীতি করতে না পারে, তার জন্য শুরুতেই ব্যবস্থা নিলেন মমতা। গতকালই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে রাজ্যে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন তার রাজ্যের দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখার কথা ছিল। ত্রাণ নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি থাকতে পারবেন না। তাকে সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর