গত ২০ বছরে ১২০টির বেশি এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেছে। ইউএফও বা উড়ন্ত চাকতি মানে আমাদের মনে একটাই ধারণা আসে। ওই চাকতি কোনো জনশূন্য স্থানে নামবে আর তা থেকে বেরিয়ে আসবে অদ্ভুত-দর্শন কিছু প্রাণী। পৃথিবীর ভাষায় যাকে বলে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের জীব। তাদের দেখতে হবে স্পিলবার্গের ইটি বা সত্যজিৎ রায়ের অ্যাংয়ের মতো। কিন্তু সত্যিই কি তাই? সত্যিই কি উড়ন্ত চাকতি মানে ভিনগ্রহের জীবের যান? বৃহস্পতিবার এক মার্কিন সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত একটি সরকারি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা বলা হয়েছে, আমেরিকার সামরিক কর্মীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আকাশে কিছু উড়ন্ত বস্তু দেখেছেন। তবে কর্মকর্তারা এখনো তার রহস্যের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। সংবাদমাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা তুলে বলা হয়েছে, তাঁরা এটুকু নিশ্চিত যে ওগুলো পেন্টাগনের গোপন প্রযুক্তি নয়। সংবাদমাধ্যমসূত্রে আরও খবর, অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই উড়ন্ত বস্তু সম্পর্কে মার্কিন সরকারের এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন সেনাবাহিনীও এ বস্তুগুলোকে আকাশে অজানা ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছে। আমেরিকার সরকারি কর্মকর্তাদের রিপোর্ট অনুযায়ীও এগুলো আমেরিকান সামরিক বিমান বা অন্যান্য উন্নত মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির নয়। সরকারি প্রতিবেদনে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে গত ২০ বছরে যে ১২০টির বেশি ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেছে, সেগুলো পেন্টাগনের কোনো প্রযুক্তি, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
মার্কিন বিজ্ঞানী এবং সেনাবাহিনীকে এ বস্তুগুলোর যে বৈশিষ্ট্য অবাক করেছে তা হলো এর নিপুণতা। এর অভাবনীয় ক্ষমতা, অস্বাভাবিক দ্রুততা, দিক পরিবর্তন করার ক্ষমতা এবং দ্রুত ডুবে যাওয়ার ক্ষমতাই তাদের ভাবাচ্ছে। জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক কর্মকর্তারা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন যে ঘটনাগুলো আসলে চীন বা রাশিয়ার কোনো হাইপারসোনিক প্রযুক্তি পরীক্ষা হতে পারে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ২৫ জুনের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর এর সংস্করণ পাবলিক ডোমেনে পাওয়া যাবে। সূত্রের খবর, সরকার এ ঘটনাগুলোর সঙ্গে এলিয়েনদের মহাকাশযানের যোগসূত্রকে অস্বীকার করতে পারছে না।