বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সম্পর্ক ঝালাইয়ে ইউরোপ সফরে বাইডেন

সম্পর্ক ঝালাইয়ে ইউরোপ সফরে বাইডেন

ইউরোপ সফরের আগে ওয়াশিংটনে বাইডেন ও জিল বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেছেন মাস পাঁচেক হলো। ওই দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ইউরোপ রওনা হয়েছেন জো বাইডেন। তাঁর আট দিনের এ সফরে গতকাল যুক্তরাজ্যে রওনা দেন।       সেখানে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর বেলজিয়াম যাবেন ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে। তবে সবকিছু     ছাপিয়ে এ সফরে প্রাধান্য পাচ্ছে জেনেভায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের সহযোগীদের সম্পর্ক বেশ শীতল হয়ে পড়েছিল। ওয়াশিংটনে পালাবদলের পর করোনা সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির পর তিনি তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে ইউরোপে যাচ্ছেন। ট্রাম্প আমলের সংঘাতের নীতির বদলে আবার সহযোগিতা ও সমন্বয়ের পথে ফিরে আসতে চান তিনি। আট দিনের ইউরোপ সফরে বাইডেন পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জোটকে আরও মজবুত করতে চান। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার আগ্রাসী নীতির মুখে এ ঐক্যের ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আবার নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে তুলে ধরে তিনি ইউরোপের নেতাদের আশ্বস্ত করতে চান। চার বছরের ‘বিচ্যুতি’ পেছনে ফেলে আমেরিকার প্রতি সহযোগীদের আস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর বাইডেন। যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে সমুদ্রের কাছের গ্রাম সেন্ট আইভসে এবারের শিল্পোন্নত সাত দেশের সম্মেলনে টিকা কূটনীতি, বাণিজ্য, জলবায়ু ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের একটি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

কর্নওয়ালেই আজ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা বাইডেনের। সুযোগ পাবেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ ঝালাই করে নেওয়ার। তিন দিনের জি-৭ সম্মেলন শেষে ৭৮ বছর বয়সী বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী জিল উইন্ডসর প্রাসাদে গিয়ে রানী এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করবেন। যুক্তরাজ্যের পর বাইডেন যাবেন ব্রাসেলসে, কথা বলবেন ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে। তাঁদের আলোচনায় রাশিয়া, চীন আর সামরিক জোটটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অন্য দেশগুলোর চাঁদার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সফরের শেষে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে কূটনৈতিক সংলাপের পথও খোলা রাখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পুতিনকে সরাসরি প্ররোচনা বন্ধ করার ডাক দিতে পারেন তিনি। তবে দুই নেতার বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ তেমন কোনো সিদ্ধান্ত আসবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর