করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪ দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রায় এক বছর পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো-আলবেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল, জাপান, লেবানন, নিউজিল্যান্ড, মেসিডোনিয়া, রুয়ান্ডা, সিঙ্গাপুর, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং চীন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত ৩০ জুন ঘোষণা করা হয়েছিল যে, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে যেসব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে ধীরে ধীরে তা তুলে নেওয়া হবে। এই তালিকা প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর পর্যালোচনা করা হবে এবং বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশের তালিকায় সংশোধন করা হবে। কোনো দেশের করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা উল্টো বাড়ানো হতে পারে। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এই গ্রীষ্মে ডিজিটাল ভ্যাকসিন পাসপোর্ট দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। কিছু ইউরোপীয় দেশও জাতীয় পর্যায় থেকে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের পরিকল্পনা করছে।
ইইউর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে বেশ কিছু তথ্য উল্লেখ থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে- একজন ব্যক্তি ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিনা, অথবা তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা, করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ কিনা অথবা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন কিনা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২২০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে।