যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির উত্তরাঞ্চলে ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ আটকা পড়ে আছে কি না তা খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে উদ্ধারকারীরা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সর্বশেষ চারজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ আছে অন্তত ১৫৯ জন। উদ্বিগ্ন স্বজনদের অপেক্ষার মধ্যে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। উদ্ধারকারীরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবনের সংকেত পাচ্ছেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ামি-দাদে কাউন্টির ১২ তলা চ্যাম্পলিন টাওয়ারের একাংশ আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। দমকল বাহিনীর ৮০টি গাড়ি যোগ দিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ভবনে কতজন মানুষ ছিল তা নিশ্চিত করতে পারছে না কেউ। ৪০ বছর বয়সী ভবনটি কীভাবে ধসে পড়ে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত ১৫৯ জনের কথা জানা গেলেও ধসে পড়ার সময় এতে কতজন মানুষ ছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজ তালিকায় আছেন প্যারাগুয়ের ফার্স্ট লেডি সিলভানা লোপেজ মোরেইরার বোন ও তার পরিবার। তাদের খোঁজ নিতে বর্তমানে ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। প্যারাগুয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের বরাতে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, দেশটির ফার্স্ট লেডি, তার বাবা-মা, তার বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফ্লোরিডায় পৌঁছেছেন। নিখোঁজরা করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করার জন্য মিয়ামাইতে এসেছিলেন। এদিকে উদ্ধার তৎপরতা আরও কঠিন করে তুলেছে অব্যাহত বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো বাতাস।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ধসে পড়া ভবন থেকে কয়েক ভবন পরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।অ্যাড মিয়ামি