রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

আফগানিস্তানের ভাগ্য আফগানদের হাতেই

- বাইডেন

আফগানিস্তানের ভাগ্য আফগানদের হাতেই

আফগানিস্তানের ভাগ্য আফগানদেরই গড়ে নেওয়ার কথা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং তাঁর সাবেক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমানে আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশনের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। আফগানিস্তানে অভিযান ও যুদ্ধের ২০ বছর পর সম্প্রতি দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানে তালেবানের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। তারা একের পর এক জেলা ও নগরের দখল নিচ্ছে। তাদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম থেকে হচ্ছে আফগান সেনাদের। ওভাল অফিসে শুক্রবার গনি ও আবদুল্লাহর পাশে বসে তাঁদের ‘দুই পুরনো বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন বাইডেন। বাইডেন বলেন, সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও আফগানিস্তানের প্রতি ‘যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন শেষ হয়ে যাবে না বরং আরও টেকসইভাবে থাকবে’।

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের নাগরিকরা নিজেদের ভবিষ্যতের বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, তারা কী চায়। অর্থহীন এ সহিংসতাকে অবশ্যই থামাতে হবে।’ বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আফগান প্রেসিডেন্ট জানান, তালেবানরা সম্প্রতি যেসব জেলার দখল নিয়েছে তার মধ্যে ছয়টি পুনর্দখল করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে অংশীদারি নতুন যুগে প্রবেশ করছে। আমরা ঐক্য ও সংহতি ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের নিজস্ব এবং কাবুলের দায়িত্ব এর ফলে উ™ূ¢ত পরিস্থিতির সামাল দেওয়া।’ রয়টার্সকে দেওয়া আলাদা একটি সাক্ষাৎকারে আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্রোহীরা নিজেদের সরিয়ে না নিচ্ছে ততক্ষণ আফগানিস্তানে কয়েক দশকের বিরোধের রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়ে স্থবির হয়ে পড়া ইন্ট্রা-আফগান আলোচনা বাদ দেওয়া উচিত হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তালেবান দরজা পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগে আমাদের দরজা বন্ধ করা উচিত হবে না। আলোচনায় কোনো ধরনের অগ্রগতির অভাব বা দেশে এখন যা চলছে তা সত্ত্বেও আমরা এখনই না বলতে পারি না।’ আফগানিস্তানে তালেবানের দাপট বাড়ছে। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে জঙ্গিদের একের পর এক হামলায় কয়েক ডজন জেলা দখল হয়েছে, সরকারি বাহিনীর সদস্যরা আটক হয়েছেন, আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছেন, সামরিক সরঞ্জামও চলে গেছে জঙ্গিদের হাতে। গুরুত্বপূর্ণ নগরগুলোয়ও ঢুকতে শুরু করেছেন তালেবান যোদ্ধারা। এ অবস্থায় আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের গতি কমিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সময়সীমা এখনো ১১ সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত আছে। তবে তা পরিবর্তন হতে পারে। এরই মধ্যে আফগানিস্তান থেকে অর্ধেক সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর