রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় পাকিস্তান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় পাকিস্তান

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তান সুসম্পর্ক চায় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়নেও আগ্রহী পাকিস্তান। মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ঘোষণা দেওয়ার পর তালেবানের ওপর পাকিস্তানের প্রভাব হ্রাস পেয়েছে।

ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তান একটি সভ্য সম্পর্ক চায়, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে আছে। যে সম্পর্ক হবে সমান সমান। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চাই।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ব্যাপারে পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের সম্পর্ক কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল। কারণ যুক্তরাষ্ট্র মনে করতো যে, তারা পাকিস্তানকে সহায়তা দিচ্ছিল এবং এমন অবস্থায় পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের কথা মতো কাজ করতে হতো। যুক্তরাষ্ট্রের বাজির ঘুঁটি হতে গিয়ে পাকিস্তানকে আসলে অসংখ্য মানুষের প্রাণ দিয়ে মাশুল গুণতে হয়েছে। ইমরান খান বলেন, বছরের পর বছর ধরে দেশজুড়ে বোমাবর্ষণ ও আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৭০ হাজার পাকিস্তানি মারা গেছেন এবং দেশের অর্থনীতিতে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এখান থেকেই সমস্যার শুরু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে অত্যধিক প্রত্যাশা করেছিল। এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া-পাওয়া পূরণের চেষ্টা করেছিল। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত কিছু সম্পর্ক রাখা উচিত। একদিকে পাকিস্তানে আমাদের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক বাজার এবং অন্যপাশে চীন আছে। তারপর আছে জ্বালানি করিডর, মধ্য-এশিয়া, ইরান। সুতরাং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ভবিষ্যৎ অর্থনীতির কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে পাকিস্তান।  তিনি বলেন, আমি জানি না। যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কী ধরনের সামরিক সম্পর্ক হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে সাধারণ একক লক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার আগে সেখানে রাজনৈতিক সমাধান দরকার।

সর্বশেষ খবর