শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের

বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এটা দ্বিতীয় হামলা

সংঘাতের দিকে আরও এগিয়ে গেল আমেরিকা ও ইরান। গতকাল ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে তেহরানের মদদপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ঘাঁটিতে তুমুল বোমাবর্ষণ করে মার্কিন যুদ্ধবিমান। এতে সাত মিলিশিয়া নিহত হয়েছেন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এটা দ্বিতীয় হামলা। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ইরানের মদদপ্রাপ্ত জঙ্গি সংগঠনগুলোর তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘাঁটি ইরাকে ও দুটি ঘাঁটি সিরিয়ায়। সেখান থেকে ইরাকে মার্কিন সেনা ঘাঁটিগুলোতে ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল জঙ্গিরা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বলা হয়েছে, ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ওপর মিলিশিয়াদের ড্রোন হামলার জবাবে তাদের ‘অস্ত্রাগার ও অপারেশন পরিচালনা করার স্থাপনা’ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। পেন্টাগন বলছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট করেছেন, মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করতে তিনি সক্রিয় থাকবেন’। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরাকে থাকা মার্কিন বাহিনী বেশ কয়েকবার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। গত মে মাসেও আইন-আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার আগে বাগদাদ বিমানবন্দরের ঘাঁটিতে তিনটি রকেট হামলা হয়। ইরান অবশ্য এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ইরাকের স্থিতিশীলতা ও শান্তির প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ানোর অভিযোগে ২০০৯ সালে কাতাইব হেজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিতে ইরান ও আমেরিকার বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। ইরাকে এখনো মার্কিন সেনার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। বাইডেন শপথগ্রহণের পর থেকে ইরাকে থাকা আমেরিকার সেনা-সম্পত্তির ওপর হামলা বেড়েছে। গত কয়েক মাসে অন্তত চল্লিশবার হামলা হয়েছে মার্কিন সেনা, দূতাবাসের ওপর। এমনকি, আমেরিকা থেকে ইরাকের জন্য আসা পণ্য সরবরাহের গাড়িতেও হামলা চালিয়েছে জেহাদি সংগঠনগুলো। সিরিয়া দাবি করেছে, হামলায় একটি শিশু মারা গেছে।

এমন সময়ে এই হামলা হলো, যখন ইরান ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে।

ইসরায়েলসহ কিছু দেশ বিশ্বাস করে যে ইরান একটি পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। ইরান অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করে। ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে অনেকটা একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং দেশটির ওপর পূর্বের অবরোধ পুনরায় কার্যকর করেন।

সর্বশেষ খবর