রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

মাস্কই এবার করোনাভাইরাস শনাক্ত করবে

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন ধরনের মাস্ক আবিষ্কার করেছেন, যেটি ব্যবহারে মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যেই শনাক্ত করবে ব্যবহারকারীর শ্বাস-প্রশ্বাসে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা। সূত্র : রয়টার্স।

নতুন আবিষ্কৃত মাস্কে থাকবে সেন্সর, যা এই কাজে ব্যবহার হবে। সম্প্রতি নেচার বায়োটেকনোলজি নামের একটি জার্নালে এই আবিষ্কারের খবর প্রকাশিত হয়। তাতে ওই মাস্কের নকশা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে, বিশেষ ধরনের এই কেএন৯৫ মাস্কে একটি খুব ছোট এবং একবার ব্যবহারযোগ্য সেন্সর রয়েছে। যা সহজেই অন্য যে কোনো মাস্কের সঙ্গে আটকে নেওয়া যেতে পারে এবং সেটি করোনাসহ অন্যান্য ভাইরাসকেও শনাক্ত করতে পারে। গবেষকদের দাবি, তাদের তৈরি এই সেন্সরটি শুধু মাস্কের সঙ্গেই নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের পোশাক, যেমন গবেষণাগারে ব্যবহৃত কোটের সঙ্গেও আটকে ব্যবহার করা যেতে পারে।

এর ফলে এই সেন্সর বা বিশেষ মাস্কটির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যের ওপরও নিয়মিত নজর রাখা সম্ভব হবে। তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত তা চিহ্নিত করে তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে দেওয়া এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) অধ্যাপক ও সংশ্লিষ্ট গবেষক দলের সদস্য জেমস কলিন্স তাদের আবিষ্কার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান, ‘প্রচুর পরিমাণে সিন্থেটিক বায়োলজি সেন্সরকে আমরা ঠান্ডায় জমিয়ে বা শুষ্ক করে রাখতে পারি, তা আমরা এরই মধ্যে করে দেখিয়েছি। এই সেন্সরগুলো সহজেই ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার নিউক্লিক অ্যাসিডকে চিহ্নিত করতে পারে। এ ছাড়া, যে কোনো ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিককে (নার্ভ টক্সিনসহ) এই সেন্সরের মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব।’ অধ্যাপক জেমসের আশা করছেন আগামী দিনে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে এই ধরনের সেন্সরসহ মাস্ক ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহারকারী নিজেই এই সেন্সরটি চালু করে নিতে পারবেন। যখন তার প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি এই সেন্সরটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং পরীক্ষার পর তার ফল শুধুমাত্র এর ভিতরের অংশেই দেখা যাবে। মাস্ক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের প্রথম দিকেই পোশাকের সঙ্গে পরার মতো সেন্সর তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছিলেন তারা। এরই মধ্যে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস আর তারপরই এই ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে ভাইরাসকে চিহ্নিত করার গবেষণা শুরু করেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর