জাপানের টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমের অবকাশ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শহর আতামিতে প্রচ- বর্ষণ থেকে শুরু হওয়া ভূমিধসে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনার দুই দিন পর উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এই ভূমিধসে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ভূমিধসের শুরুতে ১৬৭ ব্যক্তির নিখোঁজ থাকার তথ্য জানানো হয়। তাদের মধ্যে ৬৭ জনকে খুঁজে পাওয়ার তথ্য জানায় প্রশাসন। ফলে এখনো ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। জাপানের ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও আত্মরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।
ঘটনার দুই দিন পর সোমবার হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাওয়া ঘর ও কাদার নিচে চাপা পড়া রাস্তাগুলোতে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন, সময় ও খারাপ আবহাওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে তাদের; জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।শনিবার আতামিতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এরই এক পর্যায়ে ভূমিধস হয়। প্রবল কাদা ও পাথরের স্রোত ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে রাস্তা ভেঙে এগিয়ে যায়। রাষ্ট্রায়ত্ত এনএইচকে টেলিভিশনকে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার মা এখনো নিখোঁজ। এখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে পারে তা কল্পনাও করিনি।’ ৭৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জানান, তার অপর পাশের ঘরটি কাদার স্রোতে ভেসে গেছে আর সেখানে যে দম্পতি থাকত তারা নিখোঁজ রয়েছে। ‘এটি নরক,’ বলেন তিনি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়া সব লোককে উদ্ধার করতে চাই আমরা।