করোনাভাইরাসের ল্যামডা ভ্যারিয়েন্ট এখন নতুন আতঙ্কের নাম। গত চার সপ্তাহে ৩০টিরও বেশি দেশে শনাক্ত হয়েছে ল্যামডা ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ব্রিটেনেও কয়েকজনের দেহে করোনার নতুন ধরন ল্যামডার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গত বছর ডিসেম্বরের দিকে লাতিন আমেরিকর দেশ পেরুতে ল্যামডা ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয়। পেরুতে গত মে থেকে জুনে ৮২ শতাংশ মানুষ ল্যামডায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিবেশী চিলিতে এই হার এক-তৃতীয়াংশ। এটি ইঙ্গিত দেয়, করোনাভাইরাসের মূল স্ট্রেইনের চেয়ে এটি বেশি সংক্রামক। করোনার নতুন নতুন ধরনে বেশ ভুগতে হচ্ছে বিশ্বকে। ভারতীয় ধরন ডেল্টার সংক্রমণের মধ্যেই ল্যামডা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ভাবিয়ে তুলছে গবেষকদের। দ্য স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ল্যামডা বেশি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। ল্যামডার বৈজ্ঞানিক নাম ঈ.৩৭। এটা করোনার সপ্তম সংস্করণ।

ল্যামডা নতুন ভ্যারিয়েন্ট নয় : ল্যামডা কোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট নয় মোটেই। এটি গত বছর থেকেই পৃথিবীতে রয়েছে। বলা যেতে পারে গত আগস্টের প্রথম থেকে। পেরুতে এর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। সে দেশে করোনা সংক্রমিতের ৮০ শতাংশের শরীরে মিলেছে এই প্রজাতি। ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা এবং দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি প্রতাপ দেখাচ্ছে। অতিসম্প্রতি মূর্তিমানের দেখা পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়ায়। বিশেষজ্ঞরা তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছে, ভারত, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্ট যথাক্রমে ডেল্টা, আলফা ও গামার তুলনায় ল্যামডা সম্ভবত বেশি ছোঁয়াচে।