শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সৌদি-আমিরাত সম্পর্কে ফাটল অস্থির তেলের বাজার

সৌদি-আমিরাত সম্পর্কে ফাটল অস্থির তেলের বাজার

সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। তেল উৎপাদনের কোটা নিয়ে তাদের মধ্যে গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে তিক্ত মতবিরোধের পর বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক পাসের আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে। এর ফলে জ্বালানি বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবং তেলের দাম ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ওপেকের মূল সদস্য এবং এদের বাইরে রাশিয়া, ওমান, বাহরাইনের মতো আরও ১০টি তেল উৎপাদনকারী দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে ওপেক পাস। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত দেড় বছর যাবৎ বিশ্ববাজারে তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে এই জোট। কিন্তু এর দুই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ সৌদি ও আমিরাতের মধ্যে বিরোধ দেখা দেওয়ায় এখন ওপেক পাস টিকবে কি না তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।

বছরদুয়েক আগে ইয়েমেন থেকে নিজেদের বেশির ভাগ সেনা প্রত্যাহার করে নেয় আমিরাত। এতে ক্ষুব্ধ হয় সৌদি আরব। সেই থেকে দুই যুবরাজের মধ্যে সম্পর্কেও ফাটল ধরে।

গত জানুয়ারিতে কাতারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় সৌদির নেতৃত্বে যে চুক্তি হয়, আমিরাত অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা মেনে নিয়েছিল। একইভাবে, গত বছর আমিরাত যখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সৌদি আরবও সন্তুষ্ট হয়নি। গত সপ্তাহে ওপেক পাসের নেতা সৌদি আরব এবং রাশিয়া তেল উৎপাদনের মাত্রা কম রাখার মেয়াদ আরও আট মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে বিরোধিতা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ থেকেই সমস্যার শুরু। আমিরাত চায়, উৎপাদনের যে মাত্রাকে এখন মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে, তা পুনর্র্নিধারণ হোক। অর্থাৎ, উৎপাদন কতটা কমানো বা বাড়ানো হবে তা হিসাব করার জন্য যে মাত্রাকে ভিত্তি ধরা হচ্ছে, তা বাড়ানো হোক, যাতে তেলের উত্তোলন বাড়ানোর ব্যাপারে দেশগুলোর স্বাধীনতা থাকে। কিন্তু সৌদি আরব ও রাশিয়া এই দাবির বিপক্ষে। ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র- সৌদি ও আমিরাতের জ্বালানিমন্ত্রীরা প্রকাশ্যে এ নিয়ে মতভেদ ব্যক্ত করলে ওপেক পাসের আলোচনায় অস্বাভাবিক মোড় নেয়।

সর্বশেষ খবর