সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক ব্লক তৈরির পথে চীন

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারে নানা উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে চীন। এর অংশ হিসেবেই বৃহস্পতিবার চংকিং শহরে চীন-দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর দারিদ্র্য নিমূল ও সমবায় উন্নয়ন কেন্দ্র চালু করা। প্রায় কোমায় থাকা দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা সংস্থা সার্ক-এর আট সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচটি বেইজিং নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। ভারত, ভুটান ও মালদ্বীপ নিজেদের অনুপস্থিতি দ্বারা অবস্থান স্পষ্ট করেছে। নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন সার্ক প্রক্রিয়া স্তিমিত হয়ে পড়ে তখন ভারতকে বাদ দিয়ে এই উদ্যোগ নেয় বেইজিং। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ভারতকে মোকাবিলা এবং অঞ্চলটিতে চীনের উপস্থিতি শক্তিশালী করা। এটির গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত তাৎপর্য রয়েছে। নেপালের দুই প্রধানমন্ত্রীর সাবেক পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ও জাতিসংঘে দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রদূত দিনে ভট্টারাই বলেন, যদি দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্য নির্মূল গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হয় তাহলে কেন ভারতকে বাইরে রাখা হয়েছে? দেশটিতে সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষ রয়েছে, যা সাব-সাহারা অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের সমান। আমি এই কেন্দ্র গঠনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত তাৎপর্য ও অর্থ রয়েছে বলে মনে করি। চীনের সঙ্গে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

চীনা এই উদ্যোগ এমন সময় গতি পেল যখন ভারত সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টার পাশাপাশি আরেকটি আঞ্চলিক ব্লক বিমসটেক-এ মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল কোঅপারেশন (বিমসটেক)-এ সাতটি রাষ্ট্র যোগ দিয়েছে। এসব দেশ বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী ও সন্নিহিত অঞ্চল। নেপালে চায়না স্টাডি সেন্টারের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুন্দর নাথ ভট্টারাই বলেন, ‘এটি যে চীনের নেতৃত্বে ‘মাইনাস ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ, তা স্পষ্ট। দক্ষিণ এশীয় যেসব দেশ চীনা নেতৃত্বে বেল্ট ও রোড উদ্যোগের অংশ তারাই এর অংশীদার। শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপও এতে যুক্ত হবে কারণ তারা বিআরই-এ যুক্ত হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর