শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

তিন মাসের অস্ত্রবিরতিতে রাজি তালেবান তবে...

তিন মাসের অস্ত্রবিরতিতে রাজি তালেবান তবে...

তালেবানের শক্তিবৃদ্ধিতে আতঙ্কে কাঁপছে আফগানিস্তানের মানুষ। কেউ প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়ছেন তো কেউ আবার মৃত্যুভয় নিয়ে বেঁচে রয়েছেন। এর মাঝেই সংঘর্ষ বিরতির ইচ্ছে প্রকাশ করল তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী। কিন্তু তাও শর্তসাপেক্ষে। কী সেই শর্ত?

আফগান মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তালেবান জেহাদিরা জানায়, আফগানিস্তানের জেলে বন্দী ৭ হাজার তালেবান   জঙ্গিদের মুক্তি দিতে হবে। তাদের নাম জাতিসংঘের কালো তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। তবেই তিন মাসের জন্য অস্ত্রবিরতি মেনে চলবে সংগঠনটি। কিন্তু তাদের এই শর্ত মানা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে আফগান সরকার। ফলে আগামী দিনেও আফগানিস্তানে শান্তি ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। তালেবানের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব এমন সময়ে এলো, যখন গতকালই পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করা শতাধিক মানুষের সঙ্গে পাকিস্তান সীমান্তরক্ষীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর আগের দিন বুধবারই ওই অঞ্চলের পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের স্পিন বোল্ডাক ক্রসিং দখলের দাবি করে তালেবান। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফগান সেনাদের হটিয়ে তালেবান যেসব সীমান্ত ক্রসিং দখল করেছে, স্পিন বোল্ডাক সেগুলোর মধ্যে সর্বশেষ। কান্দাহার প্রদেশে কয়েক দিন ধরে আফগান সেনাদের সঙ্গে তীব্র লড়াই চলার পর সীমান্তবর্তী ক্রসিংটি দখলের দাবি করে তারা।

এদিকে গজনি শহর ঘিরে ফেলেছে তালেবান জঙ্গিরা। সেখানে আফগান সেনার ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রচ- গোলাবর্ষণ করছে তারা। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যে স্থানীয় মানুষের বাড়িঘর দখল করে ঘাঁটি বানাচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা। ফলে আম জনতার নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে গোলবর্ষণ করতে পারছে না কাবুলের সরকারি বাহিনী। কৌশলগতভাবে গজনি শহরটি থেকে রাজধানী কাবুলের দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। ফলে গজনি দখল করতে সক্ষম হলে কাবুলের পথে তালেবানের কুচকাওয়াজ আরও সহজ হয়ে যাবে।

 বলেই মত বিশ্লেষকদের।

সর্বশেষ খবর