শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
করোনা পরিস্থিতি

মৃত্যু ও সংক্রমণ আবার বাড়ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ইন্দোনেশিয়া

করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আবারও মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এখন প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু হচ্ছে প্রায় ৯ হাজার মানুষের, আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় এতদিন ভারতে মৃত্যু ও সংক্রমণ সর্বোচ্চ থাকলেও এখন সে জায়গা দখল করেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে এখন ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। গত বুধবার দেশটিতে মারা যায় ৯৯৮ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয় ৫৪ হাজার ৫১৭ জন। সেখানে ভারতে এদিন মৃত্যু ছিল ৫৮০ জন এবং আক্রান্ত ছিল ৪১ হাজার ৮৫৪ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার জানায়, টানা ৯ সপ্তাহ কভিডে মৃত্যুর হার কমতে থাকার পর তা গত সপ্তাহে বেড়েছে। গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে তা ৩ শতাংশ বেশি। আর, করোনার সংক্রমণ আগের সপ্তাহের চেয়ে গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ।

 অর্থাৎ প্রায় ৩০ লাখ  বেড়েছে। এর মধ্যে ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এরই মধ্যে বিশ্বের ১১১টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটি বিশ্বব্যাপী প্রধান ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে দেখা দিতে যাচ্ছে।

এদিকে বেলজিয়ামে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। দেশটিতে তরুণদের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি অনেক বেশি। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস পর এক দিনে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডেভিড ডৌডি বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘আমরা জানি, কভিডের ছড়িয়ে পড়ার বিস্ফোরক মাত্রার শক্তি রয়েছে।’

খবরে বলা হয়, পৃথিবীজুড়ে কভিডে মৃত্যু বৃদ্ধির মধ্যে আর্জেন্টিনায় মৃত্যুর মোট সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। রাশিয়ায়ও এ সপ্তাহে সর্বাধিক মৃত্যু রেকর্ড করা হয়। মিয়ানমারে রাতদিন করোনায় মৃতদের সৎকার চলছে। ইন্দোনেশিয়ায় গত বুধবার প্রায় ১ হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছে এবং দেশটিতে এক দিনে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষের করোনা পজিটিভ আসে। অথচ গত মাসের এই সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় দিনে ৮ হাজারের মতো মানুষ দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কভিড টিকা প্রাপ্তির হার সর্বোচ্চ যে যুক্তরাষ্ট্রে সেখানে গত দুই সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তবে, মৃত্যুহার এখনো নিম্নমুখী রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে করোনায়  দৈনিক ২৬০ জনের মতো মৃত্যু হচ্ছে। জাপানের টোকিওতেও দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে, খালি থাকছে না হাসপাতালের শয্যা। শহরটিতে চতুর্থ দফায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অলিম্পিক গেমসের আগ পর্যন্ত সংক্রমণ হাজার ছাড়াতে পারে এবং অলিম্পিক চলাকালে তা কয়েক হাজার হয়ে যেতে পারে।

জন্স হপকিন্সের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে যেখানে বিশ্বব্যাপী দৈনিক ১৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছে, টিকাদান কার্যক্রমের ফলে এখন দৈনিক ৭ হাজার ৯০০ জনে নেমে এসেছে। গত এপ্রিলের শেষের দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল। বর্তমানে অর্ধেকে নেমে সাড়ে চার লাখের মতো মানুষ দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর