শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐকমত্য

বাইডেন-মেরকেল বৈঠক

রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐকমত্য

সম্ভবত শেষবার চ্যান্সেলর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে দুই নেতা একত্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। বেশ কিছু বিষয়ে সহমত হয়েছেন তারা। বেশ কিছু বিষয়ে মতৈক্য হয়নি।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি একজোট। এ দুই দেশ এক হয়ে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাজ করবে। জার্মান নাগরিকদের উৎসাহ ছিল মূলত দুটি বিষয়ে। এক, নর্ড স্ট্রিম-২ নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধান সহমত হতে পারেন কি না। এবং দুই, ইউরোপের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন নিয়ম শিথিল করেন কি না।

নর্ড স্ট্রিম-২ : ইউরোপের বহু দেশই গ্যাস এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্র কখনোই বিষয়টি ভালো চোখে দেখে না। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, প্রাকৃতিক সম্পদকে ব্যবহার করে রাশিয়া অতিরিক্ত সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে এবং দাদাগিরি চালায়। বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্যদিকে মেরকেল বলেছেন, রাশিয়ার অবশ্যই ইউক্রেনের জমি ব্যবহারের জন্য কর দেওয়া উচিত। উল্লেখ্য, ১১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইন সমাপ্তির কাছাকাছি রয়েছে। এ পাইপলাইন দিয়ে রাশিয়া থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ গ্যাস আমদানি করতে পারবে জার্মানি।

মার্কিন কভিড নীতি : ইউরোপীয় নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার বিষয়ে এখনো একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। বাইডেন জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে নিয়ম-কানুন শিথিল করার পথে এগোচ্ছে আমেরিকা।

চীন নিয়ে দুই দেশের মত : দুই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি চীনের অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের বিরোধিতা করেছে বলেও জানান বাইডেন। তিনি বলেন, চীন বা অন্য যেকোনো দেশকে যদি তারা মুক্ত সমাজের বিরুদ্ধে কাজ করতে দেখেন, সে ক্ষেত্রে দুই দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। চীনের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তাই জার্মানি কখনোই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক দূরত্ব তৈরি করতে চায় না। কিন্তু কীভাবে একটি ভারসাম্য তৈরি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।

মেরকেল ২০০৫ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর হন। আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তিনি আর দাঁড়াচ্ছেন না। চ্যান্সেলর হিসেবে বাইডেনসহ চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মেরকেলের। বাকি তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেন জর্জ ডবিউ বুশ, বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক ছিল মেরকেলের।

সর্বশেষ খবর