রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

যে কোনো হামলার দাঁতভাঙা জবাব দেবে ইরান

যে কোনো হামলার দাঁতভাঙা জবাব দেবে ইরান

আমির আলী হাজিজাদেহ

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছেন, শত্রুর যে কোনো হামলার বিরুদ্ধে তার দেশের বিমান বাহিনী শক্ত ও দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

তিনি আরও বলেন, ইরান ইতিমধ্যেই সব ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তাকে নতুন করে পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন নেই। শত্রুরা হামলা চালানোর মতো কোনো হঠকারিতা দেখালে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। খবর-পার্সটুডের।

ইহুদিবাদী এবং আমেরিকা ইরানকে এরই মধ্যে বিভিন্ন সময় পরখ করে দেখেছে এবং তারা ভালোভাবেই জানে যে এসবের প্রতি উত্তরে তেহরান কীভাবে জবাব দিয়েছে। তিনি বলেন, শত্রুদের জেনে রাখা উচিত যে আমাদের শক্তি আছে এবং সেই শক্তির যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে প্রবল ইচ্ছাশক্তিও রয়েছে। তাই শত্রুর যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত শক্ত জবাব দেব এবং এ ক্ষেত্রে তারা কোনো ধরনের ভুল করার সুযোগ পাবে না।

ইরানের নিন্দায় সরব জি৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা : জি৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তায় ইরান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। টোকিওতে বৈঠকের সময় ইসরায়েলি তেল ট্যাংকারে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তারা। আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাপানের রাজধানী টোকিওতে বৈঠকের সময় ইসরায়েলি তেল ট্যাংকারে হামলার নিন্দা জানান। ওই হামলায় এক ব্রিটিশ ও রোমানীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। বৈঠকে জি৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, এখন পর্যন্ত যেসব তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়া গেছে, তাতে ওমানের উপকূলে ট্যাংকারে হামলার নেপথ্যে ছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ওমান উপকূলে বাণিজ্যিক ট্যাংকারে প্রাণঘাতী হামলায় ব্যবহৃত মনুষ্যবিহীন উড়ন্ত যান বা ড্রোনটি ইরানে তৈরি হয়েছে। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপ্রতিনিধি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এটি ছিল ইচ্ছাকৃত ও বাছাইকৃত হামলা। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। হামলা নিয়ে সহজলভ্য তথ্য বলে দিচ্ছে, এ জন্য দায়ী ইরান। এ হামলাকে কোনোভাবেই ন্যায্যতা দেওয়া যায় না। এতে আরও বলা হয়, ছায়া বাহিনী, অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র শক্তিকে সমর্থন দেওয়াসহ ইরানের আচরণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক সব তৎপরতা বন্ধেও ইরানে প্রতি আহ্‌বান জানানো হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিরক্ষায় সব পক্ষকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে আহ্‌বান জানায় সাত দেশের মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গিয়ে সব ধরনের তৎপরতা বন্ধে ইরানের প্রতি আহ্‌বান জানায় ব্রিটেন। এছাড়া নৌচলাচলের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক জাহাজের সুরক্ষায় অঙ্গীকারের প্রতি নিজেদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কথাও প্রকাশ করেছে জি৭ দেশগুলো।

সর্বশেষ খবর