শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

চলতি বছরের মে মাসে ১১ দিন ধরে লড়াই হয়েছিল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সেনার। তার দুই মাস বাদে রিপোর্ট প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। যেখানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘যুদ্ধাপরাধ’ বা                 ‘ওয়ার ক্রাইম’এর অভিযোগ তোলা হলো। হামাসের বিরুদ্ধেও অবশ্য একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে হামাসের বিষয়ে একটি আলাদা রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।

জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে প্রথম গোলমাল শুরু হয় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে। সে সময় গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইসরায়েলের সেই বিমান হামলা নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। হামলায় গাজা উপত্যকায় অবস্থিত একাধিক সংবাদ সংস্থার ভবনও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে ইসরায়েলের অন্তত তিনটি বিমান হামলায় ৬২জন সাধারণ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই। মানবাধিকার সংস্থাটির প্রশ্ন, কেন ওই নিরপরাধ মানুষদের ওপর আক্রমণ চালানো হলো? সংঘাতের গোড়া থেকেই ইসরায়েল দাবি করছিল, গাজা স্ট্রিপে শুধু হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই তারা আক্রমণ চালাচ্ছে। এমন কী, সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) ভবনটিও হামাসের ঘাঁটি বলে তারা দাবি করেছিল। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনটির বক্তব্য, অন্তত তিনটি বিমান হামলা শুধুমাত্র জনবসতির উপর হয়েছে। সেখানে কোনো হামাসের ঘাঁটি ছিল না। লোকালয়ে ওই হামলার ফলে ৬২ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে নারী এবং শিশুও আছে। পাশাপাশি হামাসের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে সংস্থাটি। তাদের বক্তব্য, ওই ১১ দিনে ইসরায়েলের জনবসতি লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছিল হামাস। যার ফলে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন। আয়রন ডোম থাকায় বহু মানুষের প্রাণ বেঁচেছে। তবে হামাস নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট অগাস্টে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

মানবাধিকার সংগঠনটির অন্যতম কর্মকর্তা গেরি সিম্পসন সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘’ইসরায়েলের আক্রমণে গাজা স্ট্রিপে বহু অসহায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই। এটা শাস্তিযোগ্য যুদ্ধাপরাধ।’ ইসরায়েল এবং হামাস কোনো পক্ষই এখনো পর্যন্ত সাম্প্রতিক রিপোর্টটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত যাবে।

সর্বশেষ খবর