শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নিয়ে হুঁশিয়ারি আসছে

জলবায়ুগত পরিবর্তন ও তার প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু লোভী ক্ষমতাবানদের কারণে জলবায়ু স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। তাই তো জাতিসংঘের ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন কাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-এর আসন্ন রিপোর্টে এই হুঁশিয়ারি থাকতে চলেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত সোমবার আইপিসিসির যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, তারই তৃতীয় পর্বে থাকতে চলেছে এই হুঁশিয়ারি। কী এই হুঁশিয়ারি? তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ আগামী চার বছরে পৌঁছবে শীর্ষবিন্দুতে। তার ফলে, আগামী দশকের মাঝামাঝি সময় কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবকটি কেন্দ্রই বন্ধ করে দিতে হবে গোটা বিশ্বে। ব্যাপক রদবদল ঘটে যাবে পৃথিবীর জলবায়ুর। তার ফলে, মানুষের জীবনযাত্রার ধরন আমূল বদলে যাবে। দেখা যাবে আচরণগত পরিবর্তনও।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা আগামী বছরের মার্চে প্রকাশিত হওয়ার কথা। আইপিসিসির রিপোর্টটিকে ভাগ করা হয়েছে তিন ভাগে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিজ্ঞান, তার প্রভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মানুষের প্রভাব কীভাবে কমানো যায়- এই তিনটি পর্বে। আইপিসিসির সেই আসন্ন রিপোর্টের খসড়ার কয়েকটি অংশ উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ দৈনিকটি জানিয়েছে, অর্থনীতির এগিয়ে চলার গতি বাড়াতে সব দেশই প্রচুর পরিমাণে কার্বন রয়েছে এমন সব জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। তাতে পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে উত্তরোত্তর। উষ্ণায়নের গতি বাড়ছে। সব দেশেরই ধনীরা সেই সব দেশের গরিব মানুষের চেয়ে অনেক বেশি দায়ী হয়ে উঠছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের গতি বাড়ানোর জন্য। ঢাউস এসইউভি গাড়ির ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে জ্বালানি থেকে পরিবেশ বিষিয়ে ওঠার সম্ভাবনা।

সর্বশেষ খবর