মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

তালেবানদের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ গড়তে প্রস্তুত চীন

এ রকম যে হতে চলেছে, তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। আন্তর্জাতিক মহল আঁচ পেয়েছিল, আফগানিস্তানে নতুন তালেবান সরকারের পাশেই থাকবে চীন। এবার তা-ই হলো। বেইজিং স্পষ্ট জানিয়ে দিল, তালেবান সরকারের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ গড়তে তারা প্রস্তুত।

সরকারিভাবে এই প্রথম বললেও এতদিন তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে সুসম্পর্কই রেখে চলছিল চীন। আমেরিকা যবে থেকে ঘোষণা করেছে, তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে, তখন থেকেই তালেবান নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে বেইজিং। সপ্তাহদুয়েক আগে বেইজিংয়ে গিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই ইয়ের সঙ্গে দেখা করে আসেন তালেবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদর। এবার চীন সরকারিভাবেই তালেবানদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াল। এমনকি আফগানিস্তান পুনর্গঠনে বিনিয়োগের কথাও জানিয়ে দিল।

গতকাল চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সাংবাদিকদের বলেছেন, চীন স্বাধীনভাবে আফগান জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকারকে সম্মান করে, আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে ইচ্ছুক।

হুয়া চুনিং বললেন, ‘তালেবানরা বারবার চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার আশা প্রকাশ করেছে। আফগানিস্তানের উন্নয়ন এবং পুনর্গঠনে চীনের অংশগ্রহণ নিয়েও আশাবাদী তারা। আমরা স্বাগত জানাই তাদের।’

প্রসঙ্গত আফগানিস্তানের সঙ্গে ৭৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে চীনের। তাদের আশঙ্কা, জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের মদদ দিতে পারে তালেবানরা। এই উইঘুররা বিচ্ছিন্নতাবাদী। তালেবান যাতে উইঘুরদের সাহায্য না করে, তাই আগেভাগেই তালেবানদের দিকে হাত বাড়িয়েছে চীন। গত মাসে বেইজিংয়ে গিয়ে তালেবান নেতারা প্রতিশ্রুতি দেয়, আফগানিস্তানের ভূমিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী উইঘুরদের আশ্রয় দেওয়া হবে না। বদলে চীনও তালেবান সরকারকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর