রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাইডেন তাঁর যুক্তিতে অটল

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাইডেন তাঁর যুক্তিতে অটল

তালেবানের আফগানিস্তান দ্রুত দখল এবং আমেরিকার দীর্ঘতম লড়াই বন্ধে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাঝে যে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অটল রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন, এবিসি নিউজ মাধ্যমে বুধবার জর্জ স্তেফানোপোলিসকে বলেন, এপ্রিলে সেনা প্রত্যাহারের যে ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন তাতে সামরিক বাহিনীর প্রস্থান ছিল তাঁর কথায় একটি ‘সহজ বিকল্প’ এবং এ ছাড়া কার্যকরভাবে করার কিছুই ছিল না। প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, তালেবানের এত দ্রুত ক্ষমতা দখল কেউ আশা করেনি, সে সম্ভাবনার কথা তিনি প্রত্যাহার কর্মসূচির ঘোষণার সময় থেকেই বারবার নাকচ করে আসছিলেন।

বাইডেন বলেন, ‘এই ধারণা যে তালেবান দখল করবে এবং ৩ লাখ সেনা, যাদেরকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং অস্ত্রে সজ্জিত করেছি, তারা হঠাৎ করে হার মানতে পারে বা হাল ছেড়ে দিতে পারে, আমার মনে হয় না এমনটি কেউ ভেবেছে’।

এ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও আফগান মিত্রদের সুশৃঙ্খলভাবে উদ্ধারে ব্যর্থতা এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আফগান সরকারের দ্রুত পতন, তাঁর বৈদেশিক নীতির মূল্যায়নে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে, যে বৈদেশিক নীতির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিজ্ঞ বলে ধরা হয়, কারণ সিনেট ফরেন রিলেশনস বিভাগে তাঁর বহু বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে তুরস্ক : তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেন, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে তুরস্ক মোটেই তাড়াহুড়ো করছে না। তালেবানকে স্বীকৃতি এখনই নয়, এটি আরও পরের বিষয়। তবে আমরা বিষয়টি বিবেচনায় রাখব। তালেবানের সঙ্গে তুরস্কের যোগাযোগ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তালেবান রাজধানী কাবুলে প্রবেশের আগে তাদের রাজনৈতিক শাখার নেতাদের তুরস্ক আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

প্রয়োজনে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য :  আফগানিস্তানের জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে যুক্তরাজ্য। প্রয়োজনে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে সরকার। শুক্রবার লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগান সংকটের একটি সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।  এর আগে অবশ্য আফগানিস্তানের সরকার বা বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি না দেওয়ার কথা বলেছিলেন বরিস জনসন।

দেড় শতাধিক আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠিয়েছে উজবেকিস্তান : উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আজিজ কামিলভ শুক্রবার জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে শরণার্থীর বিষয়ে চুক্তির পর ওই পালিয়ে যাওয়া আফগানদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। খবর আরব নিউজের। তালেবান শরণার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে পূর্ণ নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তাদের আফগানিস্তানে ফেরত পাঠায় উজবেকিস্তান। এক বিবৃতিতে উজবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব কথা জানায়। এ পর্যন্ত কতজন আফগান শরণার্থী উজবেকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন এ ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি দেশটি।  ফেরত পাঠানো আফগানদের মধ্যে উজবেক বংশো™ূ¢ত উপজাতি নেতা আবদুর রশিদ দোস্তমও রয়েছেন কি না এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। -এএফপি

সর্বশেষ খবর