কাবুল থেকে চোখ ফেরানো আপাতত বিশ্ব নেতাদের সম্ভব হচ্ছে না। সপ্তাহ দুয়েক আগে কাবুল দখলে উত্তেজনার মধ্যে গত পরশু কাবুল বিমানবন্দরের ভয়াবহ হামলার ঘটনায় বিশ্ব নেতারা ফের নড়েচড়ে বসেছেন। ওই হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। সব থেকে কড়া প্রতিবাদ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ১৩ মার্কিন সেনা হত্যার প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এ ঘটনার জন্য অনেক দেশের নেতারা বাইডেনের নীতিকেও দায়ী করেছেন।
ন্যাটোর মহাসচিব স্টলটেনবার্গ এ নিয়ে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, আমি এই নৃশংস হামলার কঠিন নিন্দা জানাই। ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আমাদের এখন সবার আগে লক্ষ্য হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব মানুষ উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া।
হামলার পর ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টুইটার থেকে জানানো হয় যে, কোনো ব্রিটিশ সেনাসদস্য বা কর্মকর্তা এই হামলায় হতাহত হননি। হামলা নিয়ে গতকালই বিশেষ বৈঠকে বসার কথা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। তিনি এই হামলাকে ‘বর্বরতা’ বলে আখ্যায়িত করেন। জনসন বলেন, ব্রিটিশ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই হামলাই প্রমাণ করে এই উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা কতটা জরুরি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কাবুল বিমানবন্দর হামলা নিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের দোসরদের বিরুদ্ধে বিশ্বের যে এক হয়ে কাজ করা উচিত তাই আবারও প্রমাণ করল এই হামলা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অসিম ইফতেখার এই হামলাকে জঘন্য কর্মকান্ড বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি হামলার নিন্দা ও হতাহতের পরিবারের প্রতি শোক জানান।হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীও। টুইটারে তিনি মার্কিন সেনাদের নিহত হওয়া নিয়ে শোক জানান। ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন টুইটারে এই হামলাকে কাপুরোষচিত এবং বর্বর বলে আখ্যায়িত করেন। সঙ্গে উল্লেখ করে, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যা যা দরকার তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আফগানিস্তানসহ সমগ্র বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ থামাতে আন্তর্জাতিক মহলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও জটিল ও ভঙ্গুর। এছাড়া এই হামলার আরও নিন্দা জানিয়েছে কাতার, জর্ডান, বাহরাইন, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, তুরস্ক, ইতালি, সুইডেন, নরওয়ে, চেক প্রজাতন্ত্র ও ইউক্রেন।