দখলিকৃত পশ্চিম তীরে বিরল আলোচনায় মিলিত হয়েছিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। চলতি বছর জুনে ইসরায়েলে নতুন সরকার গঠনের পর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের এটাই প্রথম বৈঠক। ফিলিস্তিনসূত্রের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে গাজা ও পশ্চিম তীরের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো। পরে এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ বলেন, ফিলিস্তিনের অংশে অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী করতে কাজ করবে ইসরায়েল।

১০ বছরের মধ্যে এটাই দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ওয়াশিংটন সফর থেকে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা এ বৈঠকে মিলিত হন। ওয়াশিংটন সফরকালে নাফতালি বেনেট সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে।

 বৈঠকের বিষয়ে টুইটারে নিশ্চিত করেছেন আল শেখ। অন্যদিকে বেনি গানৎজের অফিস থেকে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং আব্বাস দীর্ঘ বৈঠকের পর একান্তে মুখোমুখি আলোচনা করেন। এ সময় সেখানে অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সম্পর্কোন্নয়নকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় তার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন গানৎজ ও আব্বাস। এর মধ্যে রয়েছে- পশ্চিম তীরে কীভাবে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করা যায়, ইসরায়েলের ভিতরে বসবাসকারী পরিবারগুলোর পুনর্মিলন কীভাবে করা যায় এবং ফিলিস্তিনি কর্মীদের ইসরায়েলের ভিতরে কীভাবে কাজে অনুমোদন দেওয়া যায়। নাফতালি বেনেট একজন কট্টরপন্থি জাতীয়তাবাদী। তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের তীব্র বিরোধী। এ অবস্থায় এই বৈঠক নিয়ে পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক নাতাশা ঘোনিম বলছেন, এ আলোচনাকে দেখা হচ্ছে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়া হিসেবে। কিন্তু এ আলোচনা যে শান্তি প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হবে তা নিয়ে গভীর সংশয় আছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন, এমনটা আশা করা যায় না।