বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

তালেবানদের বিচ্ছিন্ন করার বিরুদ্ধে সতর্ক করল কাতার

তালেবানদের বিচ্ছিন্ন করার বিরুদ্ধে সতর্ক করল কাতার

আল থানি

তালেবানদের কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, তালেবানকে বিচ্ছিন্ন করে রাখলে তাতে আফগানিস্তানে অনিশ্চয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত শর্ত দিলে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। মঙ্গলবার তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে।

পাশাপাশি কাতারের এই কূটনীতিক মঙ্গলবার তালেবানকে নারী অধিকার ইস্যুতে তাদের নীতি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে যারা দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগরিদ কাগের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, দোহায় অনুষ্ঠিত তালেবানের সঙ্গে আলোচনার একটি বিস্তৃত অংশজুড়ে ছিল নারীদের ব্যাপারে তাদের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে। তাদের উচিত নারীদের অধিকারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা এবং তাদের কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুমতি দেওয়া।

আর ওই দিনই জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস’কে পাশে রেখে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ তালেবান বলেন, যদি আমরা শর্ত দেওয়া শুরু করি এবং (তালেবানদের সঙ্গে) আমাদের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই, তাহলে আফগানিস্তানে একটি শূন্যস্থান সৃষ্টি হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই শূন্যতা পূরণ করবে কে? ১৪ আগস্ট কাবুল দখল করার পর এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের সরকার হিসেবে তালেবানদের কোনো দেশই স্বীকৃতি দেয়নি। পশ্চিমা অনেক দেশ তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের জন্য। তাতে থাকবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং সেই সরকারকে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।

তালেবানদের সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া অগ্রাধিকার নয়- এ কথা স্বীকার করে শেখ মোহাম্মদ বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া আমি বিশ্বাস করি নিরাপত্তায় এবং আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে বাস্তব অগ্রগতিতে পৌঁছা যাবে না। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস। তিনি বলেন, আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে চায় বার্লিন। কিন্তু আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পূর্বশর্ত আছে। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, তালেবানদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া কোনো উপায়ই নেই। কারণ, আমরা আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল হতে দিতে পারি না। দেশটি অস্থিতিশীল হলে তাতে সন্ত্রাসের জন্য সহায়ক হবে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সর্বশেষ খবর