বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

তালেবান সরকার নিয়ে ‘উদ্বেগ’ জানাল যুক্তরাষ্ট্র

তালেবান সরকার নিয়ে ‘উদ্বেগ’ জানাল যুক্তরাষ্ট্র

তালেবান সরকার গঠন করেছে। তার মধ্যেই দেশটিতে চলছে পাকিস্তান বিরোধী বিক্ষোভ। গতকালও এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন নারীরা -এএফপি

আফগানিস্তানে তালেবান সরকার নিয়ে শেষ পর্যন্ত উদ্বেগ জানাল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের উদ্বেগের প্রধান কারণ সরকার কেবল পুরুষদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। এ ছাড়া নতুন নতুন সরকারে থাকা বেশ কয়েকজন তালেবান নেতা   মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলায় জড়িত। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঘোষিত নতুন তালেবান সরকার পর্যালোচনা করে দেখছে তারা। তালেবানদের মঙ্গলবারের ওই ঘোষণাকে মূল্যায়ন করছে। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাকলিস্ট বা কালো তালিকায় রয়েছে তার নাম। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির নাম রয়েছে এফবিআইয়ের ওয়ান্টেড তালিকায়।

এদিকে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে এক বিক্ষোভে তালেবানের চালানো গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। চিকিৎসা কর্মী জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধারা গুলিবর্ষণ শুরু করলে তারা নিহত হয়। এ ছাড়া কাবুলের রাজপথে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে তালেবান।

মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম আফগানিস্তানের নতুন গঠিত তালেবান সরকার ‘ঠগ ও কসাইয়ে ভর্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন। রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম একইসঙ্গে তালেবানকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি পাশাপাশি এও বলেছেন, ‘মিলিট্যান্ট’দের যদি আফগানিস্তানের ভিতরে শিকড় গাড়তে অনুমতি দেয় তালেবানরা, তাহলে   যুক্তরাষ্ট্র আবারও আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালাবে। তিনি সাংবাদিক স্টিফেন সাকুরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরাক এবং সিরিয়ার যুদ্ধে আমরা আবার যেভাবে ফিরে গিয়েছি, সেভাবে আফগানিস্তান যুদ্ধে আবার ফিরে যাব। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন-এর অনলাইন সংস্করণ।

ওদিকে মঙ্গলবার ঘোষিত আফগান সরকার তাদের দেশকে ‘ইসলামিক এমিরেট’ ঘোষণা দিয়েছে। তাদের সামনে এখন কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। তার মধ্যে অন্যতম দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা। প্রথম দিকে তারা সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের কথা বললেও, নবগঠিত সরকারে স্থান পেয়েছেন বেশির ভাগই তালেবানদের সিনিয়র নেতারা। তাতে কোনো নারীর স্থান হয়নি। অথচ তারা মন্ত্রিপরিষদে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিষয়টিকে পশ্চিমারা কীভাবে দেখছেন, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর