সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
আফগানিস্তানে খাদ্য সংকট

বিপর্যয়ের মুখে ৯৩ ভাগ পরিবার

আফগানিস্তানে পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না ৯৩ শতাংশ পরিবার। পুষ্টিহীনতায় ভুগছে ৫ বছরের নিচের অর্ধেক শিশু। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে দিয়েছে- আফগানিস্তানে চরম ক্ষুধার পরিস্থিতি বিস্তৃত হচ্ছে। আফগান শিশুরা যেন না খেয়ে না থাকে, সে জন্য বহু পরিবার চরম পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-আঞ্চলিক পরিচালক অ্যানথিয়া ওয়েব বলেছেন, সে দেশের ৩৪ প্রদেশের সবগুলোতে গত ২১ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেলিফোনে নেওয়া জরিপে দেখা গেছে- ৯৩ শতাংশ পরিবারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য নেই। তিনি আরও বলেন, বহু পরিবার চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বেঁচে থাকার জন্য নেতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে এক বেলা না খেয়ে থাকা, বড়দের খাবার না দিয়ে শিশুদের খাবার দেওয়া। খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। ওয়েব বলেন, শীত পড়ার আগেই লাখ লাখ লোকের খাবারের জোগান দরকার। আফগানিস্তানের রাস্তাঘাটগুলো তুষারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তার আগেই জীবনরক্ষাকারী সহায়তা দেওয়া দরকার।

১২ আফগান নারী কাবুল বিমানবন্দরেকাজে ফিরলেন : আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর নিরাপত্তার কথা তুলে নারীদের ঘরে থাকতে বলেছিল তালেবান। কাজে যোগ দিতে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল তাদের। তবে বিষয়টি এতটাও সহজ নয় ৩৫ বছর বয়সী রাবিয়া জামালের ক্ষেত্রে। সংসার চালাতে তার প্রয়োজন অর্থ। তাই সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরও ১১ নারী। তালেবান সরকারের অধীনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে ১২ জন নারীকর্মী যোগ দিয়েছেন তাদেরই একজন রাবিয়া। বিমানবন্দর থেকে তিন সন্তানের জননী রাবিয়া বলেন, ‘সংসার চালানোর জন্য আমার অর্থ প্রয়োজন। বাসায় বসে আমি শঙ্কার মধ্যে ছিলাম, খুব খারাপ লাগত। তবে এখন ভালো লাগছে।’ 

২০১০ সাল থেকে কাবুল বিমানবন্দরে কাজ করছেন রাবিয়া। বাধা না পাওয়া পর্যন্ত এ কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রাবিয়া বলেন, ‘আমার স্বপ্ন আফগানিস্তানের সবচেয়ে ধনী নারী হওয়া। আর ভাগ্য সব সময় আমার সঙ্গেই থেকেছে। যত দিন কপাল ভালো থাকবে, তত দিন আমি পছন্দের কাজ চালিয়ে যাব।’ এই কর্মীদের মধ্যে ছিলেন রাবিয়ার বোন কুদসিয়া জামালও। কুদসিয়া জামালের পাঁচ সন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। কুদসিয়া বলেন, ‘আমি খুব ভয়ের মধ্যে ছিলাম। আমাকে নিয়ে পরিবার শঙ্কার মধ্যে ছিল। তারা আমাকে কাজে ফিরতে মানা করেছিল। তবে আমি এখন অনেকটা নিশ্চিন্তে আছি।

সর্বশেষ খবর