বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আফগানিস্তানে সক্রিয় হচ্ছে আল- কায়েদা

মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন

আফগানিস্তানে সক্রিয় হচ্ছে আল- কায়েদা

তালেবানকে সামনে রেখে গোটা বিশ্বে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করত আল-কায়েদা। সেই তালেবান আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতায়। আর এই সুযোগকে আবার কাজে লাগাতে চায় আল-কায়েদা। মার্কিন এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের কিছুটা সত্যতাও পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন পর সংগঠনটির নেতা আয়মান-আল জায়াহিরি ভিডিওতে নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়েছেন।

একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে আফগানিস্তানে নিজেদের পুনরায় সংগঠিত করতে সক্ষম হতে পারে। ১৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বার্ষিক সম্মেলনে ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট বেরিয়ার বলেছেন, রক্ষণশীল অনুমানের মাধ্যমে ধারণা করা যায়, আমেরিকার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে শক্তি সঞ্চয় করতে আল-কায়েদার এক বা দুই বছর সময় লাগতে পারে। চীন ও রাশিয়াকে মোকাবিলা করে আফগানিস্তানের নতুন সরকারের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণের বিষয়ে গোয়েন্দা প্রবেশাধিকার নিয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান স্কট বেরিয়ার।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অবিলম্বে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা না হলে আগামী ১-২ বছরেই ফের আমেরিকার মাটিতে হামলা চালাতে পারে ওসামা বিন লাদেনের উত্তরসূরিরা। পুনরাবৃত্তি হতে পারে ৯/১১ সন্ত্রাসের।

এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আফগানিস্তানে প্রত্যাবর্তনের বিকল্পও খুলে রাখা হচ্ছে জানিয়েছেন স্কট। তাঁর মন্তব্য, ‘বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। আমাদের আরও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।’

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে গত মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তানে আর আল কায়দা নেই। ওখানে এখন আর সেনা রেখে কী হবে? আমরা ওখানে সেনা পাঠিয়েছিলাম মূলত আল কায়দা এবং ওসামা বিন লাদেনকে খতম করতে। আমাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।’ কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বাইডেনের বক্তব্য কার্যত খারিজ করে পেন্টাগন জানিয়েছিল, ‘আফগানিস্তানে এখনো সক্রিয় আল কায়দা এবং আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী।’ নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু আল কায়দা নেতার আফগানিস্তানে ঢোকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমিন আল হকের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে প্রবেশের ভিডিওচিত্র মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে।

ঘটনাচক্রে, গত শনিবার ৯/১১ সন্ত্রাসের ২০তম বর্ষপূর্তিতে আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি একটি ভিডিওয়ে-বক্তৃতা প্রকাশ করে আফগানিস্তানে আমেরিকার পিছু হঠেছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধের পর আমেরিকা পরাস্ত হয়েছে। আফগানিস্তান ছেড়ে পাকাপাকিভাবে চলে গিয়েছে।’ যদিও তালেবানের ক্ষমতা দখল সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

সর্বশেষ খবর