শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আমেরিকা ব্রিটেন অস্ট্রেলিয়া অকাস চুক্তি, ক্ষুব্ধ ফ্রান্স

আমেরিকা ব্রিটেন অস্ট্রেলিয়া অকাস চুক্তি, ক্ষুব্ধ ফ্রান্স

চীনকে মোকাবিলায় একজোট হলো আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। বুধবার তিন দেশের মধ্যে বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি হলো। চুক্তি অনুসারে অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু-চালিত সাবমেরিনের প্রযুক্তি দেবে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়াকে সাহায্য করবে দুই দেশ। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার সামরিক শক্তি অনেকটাই বাড়বে। দিন দেশের এই চুক্তি অকাস নামে পরিচিত পেয়েছে। কিন্তু এই চুক্তি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে ফ্রান্স। দেশটি বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো আচরণ করছেন। অবশ্য ফ্রান্সের এই ক্ষোভের যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণ ফ্রান্সের সঙ্গে এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার অন্যদিকে এই চুক্তিকে ‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ‘সংকীর্ণ মানসিকতা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অকাস নামের চুক্তিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিন দেশের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। এর অর্থ হলো অস্ট্রেলিয়া হবে পরমাণু সাবমেরিন সমৃদ্ধ সপ্তম দেশ। ফ্রান্সের দাবি, এই চুক্তির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশটির সাবমেরিন বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির আর্থিক মূল্য ছিল চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

এ প্রসঙ্গে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান বলেন, ‘এ রকম নিষ্ঠুর, একতরফা ও হুটহাট সিদ্ধান্ত আমাকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতেন। এ সিদ্ধান্তের ফলে আমি ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। এটা মিত্রদের সঙ্গে করা যায় না।’  তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপন করেছিলাম। অস্ট্রেলিয়া সেই বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে।’

এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদকীয়তেও এই নিরাপত্তা জোটের নিন্দা করা হয়েছে। চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা বলেছে, ‘অস্ট্রেলিয়া এখন নিজে থেকেই চীনের শত্রুতে পরিণত হল।’ জোট গঠনের চুক্তিতে তিন দেশের নেতারা সরাসরি চীনের নাম না নিলেও বারবারই আঞ্চলিক হুমকি নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ‘এই হুমকি গুরুতর হয়ে উঠছে।’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এই অকাস জোটই সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, বলছেন বিশ্লেষকরা।

সর্বশেষ খবর