মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
অকাস চুক্তি নিয়ে উত্তেজনা

ব্রিটেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করল ফ্রান্স

ব্রিটেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করল ফ্রান্স

অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে নতুন একটি নিরাপত্তা চুক্তির জেরে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একটি পূর্বনির্ধারিত সামরিক সংলাপ বাতিল করেছেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পারমাণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়া অকাস চুক্তিতে সই করার পর প্যারিস ক্ষুব্ধ হয়। কারণ এই চুক্তির কারণে ফ্রান্সের সঙ্গে একটি বড় ডুবোজাহাজ ক্রয়চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে দেশটি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ওই চুক্তি নিয়ে ফ্রান্সের চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু এই সপ্তাহে লন্ডনে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের সঙ্গে ফ্লোরেন্স পার্লির বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। ফ্রান্সে থাকা সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত লর্ড রিকেটস, যার দুই দিনের ওই আলোচনার সহ-সভাপতি হওয়ার কথা ছিল, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে বৈঠকটি ‘পরবর্তী তারিখের জন্য স্থগিত করা হয়েছে’।

গত সপ্তাহে সম্পন্ন হওয়া অকাস চুক্তিকে, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবিলার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ চুক্তিটির মাধ্যমে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে করা অস্ট্রেলিয়ার আরও একটি চুক্তি বাতিল হয়ে যায় যার আওতায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ১২টি প্রচলিত সাবমেরিন তৈরি করার কথা ছিল। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-ইভ লে দ্রিয়াঁ এটিকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করে একে ‘মিত্র এবং অংশীদারদের মধ্যে অগ্রহণযোগ্য আচরণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

মিত্রদের মধ্যে কার্যত অভাবনীয় এমন পদক্ষেপের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ওয়াশিংটন এবং ক্যানবেরায় থাকা ফরাসি রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের আদেশ দেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের পথে থাকা বরিস জনসন পেনে বসে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, জোট নিয়ে ফ্রান্সের ‘চিন্তিত’ হওয়ার কিছু নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, অ্যাংলো-ফরাসি সম্পর্ক ‘দৃঢ়’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে একটি ‘অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ রয়েছে, যা তিনি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন।

ফ্রান্সের রাগ কমাতে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলবেন বাইডেন : এই অবস্থায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলতে চান বাইডেন। ফরাসি সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আগামী দিনে এই কথা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টই কথা বলতে চেয়েছেন।’ মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, এটা বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনা। তাই আমরা এর ব্যাখ্যা চাই।’

সর্বশেষ খবর