সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচনে ভোটের উৎসব

জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচনে ভোটের উৎসব

জার্মান শাসনের ১৬ বছরের ইতিহাস শেষ হচ্ছে অ্যাঙ্গেলা  মেরকেলের। এবার শুরু হচ্ছে নতুন কোনো নেতার শাসন। তাইতো জার্মানির ২০তম জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নতুন চ্যান্সেলর পেতে জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ-বুন্ডেসটাগ নির্বাচনের জন্য স্থানীয় সময় গতকাল সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়। ১৬টি অঙ্গরাজ্যে একযোগে চলছে ভোট গ্রহণ। আজ নির্বাচনের কিছু ফল জানা জেতে পারে। নির্বাচনকে কেন্দ্র দেশজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। করোনা মহামারীর মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নিজের পছন্দের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এবারের জাতীয় নির্বাচনে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন না অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) থেকে লড়ছেন দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান আরমিন লাশেট। সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি) থেকে চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস। জনমত জরিপে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন তিনি। আর পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশ লড়ছেন আনালেনা বেয়ারবক। এবারের জাতীয় নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী লাশেটের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান দিয়েছেন মেরকেল। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৬ কোটি ৪০ লাখ। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সবাই বুথে এসে সরাসরি ভোট দেবেন না। মেইলের মাধ্যমে অনেকেই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া সুযোগ থাকছে।

সর্বশেষ জনমত জরিপ বলছে, সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি খুব সামান্য ব্যবধানে মেরকেলের রক্ষণশীল ইউনিয়ন শিবিরের চেয়ে এগিয়ে আছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, ভোট শেষে যে দলই এগিয়ে থাক, সরকার গড়তে তাদের জোটের শরণাপন্ন হতে হবে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে লিখেছে, এসপিডি প্রার্থী ওলাফ শলৎস ও ইউনিয়ন শিবিরের প্রার্থী আরমিন লাশেটের হাতে সংসদের আসন সংখ্যার মধ্যে ফারাক যদি সত্যি খুব কম হয়, সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষই সমান্তরালভাবে সরকার গড়ার লক্ষ্যে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা চালাতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

নতুন চ্যান্সেলর কীভাবে ঠিক হবে : জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা দুটি করে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। প্রথমটি নির্বাচনী আসনে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য, দ্বিতীয়টি পছন্দের দলের জন্য। প্রার্থী ও দল ভিন্ন হলেও সমস্যা নেই। ভোটারদের দেওয়া প্রথম ভোটের ভিত্তিতে ২৯৯টি আসনে প্রার্থীরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন। আর দ্বিতীয় ব্যালটে যে দল যত শতাংশ সমর্থন পাবে, সেই অনুপাতে বুন্ডেসটাগের বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন। এ হিসেবে দ্বিতীয় ভোটের ভিত্তিতে বাকি ২৯৯ আসনে দলীয় মনোনয়ন অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনের কথা থাকলেও বাস্তবে সংসদে সদস্য সংখ্যা ৫৯৮ ছাপিয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর