ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। যে দেশের জেলখানাগুলো সম্পর্কে ভীতিকর সব গল্প প্রচলিত আছে। জেলের বেশির ভাগ বন্দী ভয়ংকর সন্ত্রাসী। সেই জেলের দখল নেবে কোন দল? সেই নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ। আর তাতেই প্রাণ গেল ১১৬ বন্দীর। আহত হয় আরও ৮০ জন। আর দেশটিতে এরকম ঘটনা নতুন নয়। প্রেসিডেন্ট গিলেরমো লাসো জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে দেশের সব জেলে। গুআয়াস প্রদেশের পেনিটেনসিয়ারিয়া ডেল লিটোরালের জেলের ঘটনা এটি। মঙ্গলবার রাতে সেখানে তুমুল সংঘর্ষে জড়ান বন্দীরা। প্রেসিডেন্ট লাসো জানিয়েছেন, জেলকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে কয়েদিরা। এসব দুর্ভাগ্যজনক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি এবং জুলাইয়েও একই ঘটনা ঘটেছে সে দেশে। ফেব্রুয়ারিতে জেলে সংঘর্ষে মারা যান ৭৯ জন। জুলাইয়ে মারা গেছেন ২২ জন। বুধবার থেকে জেলের সামনে ভিড় করে বন্দীদের পরিবার। পরিজনদের খোঁজ জানতে চান। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও তুমুল সমালোচনা করেছে সরকারের। আগস্টেই লাসো জানিয়েছিলেন, দেশের জেলগুলোতে স্থানের তুলনায় বন্দীর সংখ্যা বেশি। শিগগিরই কক্ষ বাড়ানো হবে। যদিও এখনো ব্যবস্থা হয়নি।