শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্যান্ডোরার ফাঁদে ৩০০ ভারতীয়

প্যান্ডোরার ফাঁদে ৩০০ ভারতীয়

আইসিআইজে যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে ৩০০ ভারতীয় এবং সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শচীন যাদের মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া অন্তত ৬০ জন পরিচিত ব্যক্তির নাম আছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে বিখ্যাত কয়েকজন সম্পর্কে যা বলা হয়েছে।

শচীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ : স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য ভারতে বিশেষ নাম আছে ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের। তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বলেন, যুবসমাজের ক্ষতি হতে পারে, এমন বিজ্ঞাপনও তিনি করতে রাজি হন না। সেই শচীনের নামই উঠে এসেছে প্যান্ডোরা পেপারস দুর্নীতিতে। বিদেশে শচীনের অবৈধ সম্পত্তি আছে বলে অভিযোগ। যদিও শচীনের আইনজীবী তা অস্বীকার করেছেন। শচীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া দ্বীপে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন। যা আইন মোতাবেক বেআইনি। শচীনের আইনজীবী অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, শচীন বিদেশের মাটিতে যে বিনিয়োগ করেছিলেন, তা ভারতের কর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই করা হয়েছিল।

অনিল আম্বানি : ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং বিজনেস টাইকুন অনিল আম্বানি। বিদেশে তারও বিপুল সম্পত্তি আছে বলে তথ্যপ্রমাণ সামনে এনেছে প্যান্ডোরা পেপারস। অভিযোগ, ১৮টি অ্যাসেটের মাধ্যমে অনিল আম্বানি বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ জমিয়ে রেখেছেন। বস্তুত, বছরখানেক আগে যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে অনিল নিজের সংস্থার দেউলিয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্যান্ডোরা পেপারস বলছে, এখনো তার বিদেশে ১৮টি অ্যাসেটের মাধ্যমে অর্থ জমানো আছে। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমকে অনিল কিছু জানাননি।

নীরব মোদির বোন : অর্থ তছরুপের মামলা চলছে নীরব মোদির বিরুদ্ধে। যদিও সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার আগেই বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন মোদি। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। প্যান্ডোরা পেপারসের তথ্য বলছে, নীরব মোদি তো বটেই তার বোনেরও বিপুল পরিমাণ অফশোর অ্যাসেট বা বিদেশে অবৈধ বিনিয়োগ আছে।

বিওকন : ভারতের নাম করা কনস্ট্রাকশন সংস্থা বিওকন। যার অন্যতম প্রধান কিরণ মজুমদার শ। অভিযোগ, কিরণের স্বামীও বিদেশে ট্রাস্ট তৈরি করে কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বিওকনের বিরুদ্ধেও সব তথ্য প্যান্ডোরা পেপারসের হাতে আছে বলে সাংবাদিকদের দাবি।

সর্বশেষ খবর