শিরোনাম
শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিজেপির জাতীয় কমিটি থেকে মেনকা ও বরুণ গান্ধী বাদ ঢুকলেন মিঠুন চক্রবর্তী

বিজেপির জাতীয় কমিটি থেকে  মেনকা ও বরুণ গান্ধী বাদ ঢুকলেন মিঠুন চক্রবর্তী

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জাতীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য বরুণ গান্ধী এবং তার মা বিজেপির সাবেক মন্ত্রী মেনকা গান্ধী। বৃহস্পতিবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণা করেছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। আবার জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন চিত্রনায়ক মিঠুন চক্রবর্তী।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত কৃষকদের কয়েকজনকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার ঘটনার সমালোচনার পর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন মেনকা গান্ধী ও তার ছেলে। কমিটির ৮০ সদস্যের মধ্যে ৩৭ জনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য। একই সঙ্গে ১৭৯ সদস্যের স্থায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে গঠিত কমিটিও ঘোষণা করেছে বিজেপি।

এই কমিটিতে মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও নির্বাহী কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও ঠাঁই পেয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ, স্বপন দাশগুপ্ত, মুকুটমণি অধিকারী, ভারতী ঘোষ ও অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। আর আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম এসেছে রাজ্যের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ জয়ন্ত রায়, রুপা গঙ্গোপাধ্যায় ও নারীনেত্রী মাহফুজা খাতুনের।

তবে সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কর্মসমিতিতে রাখা হয়েছে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে। বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী এটি দলের অন্যতম প্রধান কমিটি। এর ওপরে রয়েছে শুধু ১২ সদস্যের সংসদীয় বোর্ড। দলের যাবতীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় এই বোর্ড। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশি, বিজেপির সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নিতীন গড়কড়ি, সাবেক রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল রয়েছেন। জায়গা পেয়েছেন অভিনেত্রী এমপি হেমা মালিনীও।

অটলবিহারি বাজপেয়ি মন্ত্রিসভার সদস্য মেনকা গত দুই দশক ধরে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর আসন থেকে জিতলেও তাকে আর মন্ত্রী করা হয়নি।

বিজেপি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল মেনকার।

চলতি বছরের ৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হাত ধরে মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তখন রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছিল, বিজেপি জিতলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন মিঠুন। তবে বিধানসভা নির্বাচনে হারের মুখ দেখে দলটি।

বিজেপিতে যোগদানের আগেও মিঠুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। প্রথমে বামপন্থি রাজনীতি করলেও পরে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এ ছাড়া মিঠুন চক্রবর্তী ২৫ বছর সর্বভারতীয় মজদুর ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর