শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মুঘল আমলের হীরা-পান্নার চশমা উঠছে নিলামে

মুঘল আমলের হীরা-পান্নার চশমা উঠছে নিলামে

কাচের জায়গায় হীরা এবং পান্না। ভারতের এক রাজকোষাগার থেকে আসা এমন এক জোড়া চশমা চলতি মাসের শেষ দিকে লন্ডনে নিলামে উঠতে যাচ্ছে। চশমাগুলোয় হীরা ও পান্নার লেন্সের সঙ্গে এখন যে মুঘল আমলের ফ্রেমগুলো আছে, সেগুলো ১৮৯০ সালের কাছাকাছি সময়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে নিলাম সংস্থা সথেবি’জ। নিলামে চশমা দুটির প্রতিটির দাম ২০ লাখ থেকে শুরু করে ৩৪ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। নিলামের আগে অক্টোবরে চশমা দুটি হংকং ও লন্ডনে প্রদর্শিত হবে বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। এ চশমাগুলো মুঘল আমলে বানানো বলে ধরে নেওয়া হলেও কোন সম্রাটের আমলে বানানো হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

সথেবি’জের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমন চশমা বিশ্বজুড়ে বিরল। এর একটির দুটি লেন্সই বানানো হয়েছে আস্ত একটি হীরা কেটে, অন্যটির লেন্স জোড়া এসেছে বড় একটি পান্না থেকে। ‘এ রত্নগুলোর মান ও বিশুদ্ধতা অনন্য; পাথরগুলোর যে আকার তাতে এগুলো যে কোনো সম্রাটের কোষাগারেই ছিল তা নিয়ে সন্দেহ নেই,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে। হীরার লেন্স দুটি যে হীরা থেকে বানানো হয়েছে, সেই প্রাকৃতিক হীরকখন্ডটি দক্ষিণ ভারতের গোলকোন্ডা খনি থেকে পাওয়া গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অশ্রুফোঁটা আকৃতির পান্নার লেন্সগুলোও তৈরি হয়েছে আস্ত একটি প্রাকৃতিক কলম্বিয়ান পান্না থেকে। আর্টনিউজ ডটকম জানিয়েছে, পান্নার চশমাটির নাম গেট অব প্যারাডাইস বা স্বর্গদ্বার, আর হীরাটির নাম হালো অব লাইট বা আলোর দীপ্তি। ১৮৯০ সালের দিকে এ লেন্সগুলোর সঙ্গে রোজ-কাট হীরা খচিত ফ্রেম জুড়ে দেওয়া হয়। ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত এ চশমাগুলো রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারদের কাছেই ছিল; পরে তারা দুটি চশমাই ইউরোপের ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর